বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গড়ে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবিরে ফিরছেন ভাটপাড়া পুরসভার ১২ জন কাউন্সিলর। লোকসভার পরপরই তাঁরা বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের দাবি, কাউন্সিলরদের মোহভঙ্গ হয়েছে। তারা বিজেপিতে ভাল ছিলেন না, তাই ফিরে আসছেন। এদিনই কাউগাছি ও পানপুর পঞ্চায়েতের একাধিক সদস্য তৃণমূলে ফিরলেন।
বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে ভাটপাড়ার পটপরিবর্তনের কথা বলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জগদ্দলের বিধায়ক পরেশ দত্ত। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘১২ জন কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরছেন। ওদের ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গুন্ডামি করে, ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। ওদের মনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম লেখা রয়েছে। বিজেপি সেটা মুছবে কীভাবে।’ উল্লেখ্য, এই মূহূর্তে ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলর সংখ্যা ৩৫। ১২ জন তৃণমূলে ফিরে এলে পুরসভা দখল করার জায়গায় চলে আসবে তৃণমূল। এদিনই কাউগাছি ও পানপুর পঞ্চায়েতের একাধিক সদস্য তৃণমূলে ফিরলেন।
প্রসঙ্গত, ভাটপাড়া পুরসভার দুই সিআইসিকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মঙ্গলবার। অপসারিত দুজন হলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত সিআইসি মনোজ গুহ ও জঞ্জাল অপসারন দপ্তরের সিআইসি মদনমোহন ঘোষ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোজ গুহর জায়গায় দুর্বা ভট্টাচার্য ও মদনমোহনের জায়গায় মোহন দাসকে ওই দুই দপ্তরের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে, পুরপ্রধান সৌরভ সিংয়ের বক্তব্য, দলীয় স্তরে আলোচনা করেই ওই দুজনকে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে নতুন দুজনকে ওই পদে আনা হয়েছে। যদিও অপসারিত দুই সিআইসির দাবি, তাঁরা নিজে থেকেই পদত্যাগ করেছেন। পুরসভার রিসিভিং সেকশনে পদত্যাগ পত্র জমাও দিয়েছেন।