মঙ্গলবার সকাল থেকে সদর দফতরের সামনে দিল্লী পুলিশের অবরোধের জেরে অশান্তি চরমে উঠেছিল। ১১ ঘণ্টা পর উঠল দিল্লী পুলিশের অবরোধ। গত শনিবার দিল্লীর তিস হাজারি আদালতের সামনে গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় ২০ জন পুলিশকর্মী আহত হন। এরপরই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দিল্লী পুলিশের আধিকারিক ও কর্মীরা।
গত শনিবার বিকেলে তিস হাজারি আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে সংর্ঘষের পর কমিশনারের আচরণে ক্ষুদ্ধ ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে দু’দিন ধরে চাপানউতোর চললেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি ২০ জন জখম পুলিশ কর্মীদের দেখতে যাননি অমূল্য পট্টনায়েক। তাই রাগ আরও বেড়ে যায় কর্মীদের। যার প্রমাণ পাওয়া যায় মঙ্গলবারের বিক্ষোভে।
পুলিশের পরিবারের কর্মীরাও বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। মাথা ঠান্ডা রেখে কাজে যোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন দিল্লীর পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েক। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। সমস্যা মেটে রাতে। কর্মীদের যাবতীয় দাবি খতিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েক। দোষী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। এমনকি আহত পুলিশকর্মীদের ২৫০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন দিল্লী পুলিশের স্পেশাল কমিশনার সতীশ গোলচা।
এটা ঘটনা একের পর এক নিগ্রহের ঘটনায় নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ জমছিল। যার জেরে মঙ্গলবার সকালে আইটিও–তে দিল্লী পুলিশের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন হাজার হাজার পুলিশ। মূল দাবি ছিল, কাজের জায়গায় নিরাপত্তা পাওয়া এবং আক্রান্ত হলে সুবিচার পাওয়া। বিক্ষোভের ১২ ঘন্টা পর উঠল সেই বিক্ষোভ অবরোধ।