দুর্গাপুজোর আগেই উত্তর ২৪ পরগনা, বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে গিয়ে ৩ জেলার প্রশাসনিক বৈঠকই সেরে ফেলেছিলেন তিনি। পুজো মিটতে উত্তরবঙ্গেও করেছেন প্রশাসনিক বৈঠক। এরই মধ্যে উৎসবে টানা ছুটির মেজাজ কাটিয়ে আজ, মঙ্গলবার খুলে গেছে সরকারি দফতরগুলি। এবার জগদ্ধাত্রী পুজো মিটলেই হাত-পা ঝেড়ে কাজে নেমে পড়ার নির্দেশ দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সে কারণেই আগামী সোমবার ১১ নভেম্বর সব দফতরের প্রধান সচিব, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, মন্ত্রী, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। জানা গেছে, নবান্ন সভাঘরে আয়োজন করা ওই বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের কাজের খতিয়ান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দফতরের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করবেন। যে দফতর ভালো কাজ করবে, তাদের জন্য আগামী বছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়বে। আর যাদের রেকর্ড ভালো আশাব্যঞ্জক হবে না, তাদের কাছ থেকে বরাদ্দ টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যে শতাধিক পুরসভার ভোট। প্রশাসনিক মহলের মতে, এই বৈঠক দিয়েই কার্যত পুর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ করতে হয়। রাজ্য সরকারের যেসব উন্নয়নমূলক কর্মসূচী চলছে, তার পর্যালোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তিনি চান, তাঁর জনমুখী প্রকল্পগুলির সুবিধা যেন সাধারণ মানুষ পায়। তাছাড়া যেসব জায়গায় রাস্তা, উড়ালপুলের কাজ চলছে, তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা হোক।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ ধরনের প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। বছরে দু’বার রাজ্যস্তরে বৈঠক হয়। এরপর তিনি জেলাওয়াড়ি প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করেন। জেলার প্রত্যন্ত ব্লকে নবান্নকে নিয়ে হাজির হন। বিভিন্ন কাজের চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়। জেলাস্তরে প্রশাসনিক বৈঠকের ফলে কাজের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হচ্ছে বলে অফিসাররা জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, কাজ করতে গিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। প্রশাসনিক বৈঠকেই সেসব নিয়ে আলোচনা হয় এবং সমস্যার সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে।