মৃত্যু নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েই রাজ্যে জমি শক্ত করতে মরিয়ে গেরুয়া শিবির। সেই লক্ষ্যেই নিরলস পরিশ্রম বিজেপির আইটি সেলের। গ্রাম্য বিবাদের জেরে মৃত্যু। সেই মৃত্যুতেই রাজনীতির রং লাগিয়ে নক্কারজনক অপপ্রচার বিজেপির।
গত মঙ্গলবারের ঘটনা। পুরুলিয়ার কেন্দা থানার টুড়ুহুল গ্রামের ঘটনা। বিগত কয়েক মাস ধরেই গ্রাম্য বিবাদে জড়িয়ে পড়ে ওই গ্রামের দুটি পরিবার। সেই বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছয় মঙ্গলবার। ধারাল অস্ত্র দিয়ে দুই পরিবারের মারামারিতে মৃত্যু হয় বাবা লালমোহন মাহাতো ও ছেলে দীপক মাহাতোর। সংঘর্ষে আহত হন চারজন।
এই ঘটনাতেই রাজনীতির রং লাগিয়েছে বিজেপি। সোস্যাল মিডিয়ায় তারা দাবি করছে, নিহত লালমোহন মাহাতো ও দীপক মাহাতো বিজেপির সমর্থক ।দীপক টুড়ুহুল গ্রামের এবিসি মোর্চার মণ্ডল সম্পাদক। লালমোহন ও তার ছেলে দীপক নাকি কৃষি দপ্তরের মিনি কীট চুরির প্রতিবাদ করেছিলেন।সেই প্রতিবাদের জেরে তৃণমূল দুষ্কৃতি বাহিনী তাদের হত্যা করেছে। বিজেপির হুঁশিয়ারি দোষীদের হত্যা করা না হলে এই ঘটনার প্রতিবাদ হবে জেলা জুড়ে।
মর্মান্তিক ঘটনা ঘিরে রাজনীতির রং চড়ানো কোনও নতুন বিষয় নয় বিজেপির কাছে।পুরুলিয়াও তার ব্যাতিক্রম নয়।ঘটনার পরই মানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়াতে জোর তৎপরতা বিজেপির আইটি সেলের। এর আগেও গ্রাম্য বিবাদের জেরে নিহতদের নিজেদের সমর্থক, কর্মী বলে দাবি করেছে দিলীপ অ্যান্ড কোম্প্যানি। রাজ্যে বিভেদের লক্ষ্যে উত্তর প্রদেশের একটি ঘটনার ছবিতে রূপা গাঙ্গুলির মুখ বসিয়ে তা এরাজ্যের হিংসা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়।এবার গ্রাম্য বিবাদে মৃত্যু নিয়েও সংকীর্ণ রাজনীতিতে ব্যস্ত তারা।
তবে বিজেপির অভিসন্ধি ধরা পড়ে গেছে। প্রতিবাদে মুখর রাজ্যের শাসক দল।মৃত্যু নিয়ে বিজেপির রাজনীতির বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়ায় সরব তৃণমূল। অশন্তি ছড়াতেই বিজেপি গ্রাম্য বিবাদের কারণে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের।ভুল ঘটনা প্রচার করে যারা রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্ট করছে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।
তৃণমূলের বিপক্ষে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না গেরুয়া শিবিরের ‘বীরপুঙ্গক’রা। তাই যেনতেন প্রকারে দলের আইটি সেলকে ব্যবহর করে প্রচারের চেষ্টা বিজেপির। তা সে হোক না মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে কদর্য অপপ্রচার।