২ সপ্তাহ ধরে চলা নানা টালবাহানার পর ফের মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে উল্টে পাল্টে যেতে চলেছে সমস্ত সমীকরণ। ৫০:৫০-এর গেরোয় পড়ে ইতিমধ্যেই মনোমালিন্য চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে বিজেপি ও শিবসেনার। তবে মহারাষ্ট্রে সরকারের চাবিকাঠি অন্যহাতে যাক এটা কোনওভাবেই মানতে রাজি নয় বিজেপি। ফলস্বরূপ ফের শিবসেনাকে মানাতে উঠে পড়ে লাগল গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, সম্পর্কের কাঁটা উপড়ে ফেলে মঙ্গলবার শিবসেনাকে নিয়ে সরকার গঠনের লক্ষ্যে বৈঠকে বসতে চলেছে দু’পক্ষ। এখানেই চূড়ান্ত হবে সরকার গঠনের ফয়সালা।
আধা আধা সময়কালে সরকার গঠনের দাবিতে বিজেপি অরাজি হওয়ার জেরে এনসিপির সান্নিধ্যে এসে কংগ্রেসকে সঙ্গী করে সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শিবসেনা। পাশাপাশি, সোমবারই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই মহারাষ্ট্রে অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতিপূরণের জন্যই রাজধানীতে অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতে এসেছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। যদিও তা ক্ষতিপুরণ বলে দাবি করা হলেও আসলে এটা মারাঠা রাজনীতির ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বলেই মনে করেছে বিশেষজ্ঞ মহল। বৈঠক শেষে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ফড়ণবীশ মুখ না খুললেও জানিয়ে দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই সরকার গঠন হচ্ছে মহারাষ্ট্রে।
এরপরই বিশেষ সূত্রের খবর, আগামীকাল মঙ্গলবার শত্রুপক্ষের হাত ছাড়িয়ে ফের একবার গেরুয়া ছত্রছায়ায় শিবসেনাকে ঢোকাতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি। মঙ্গলবারই শিবসেনার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানে সেনার দাবি মেনে নিয়ে হয়ত ৫০:৫০ সমীকরণের পথে যেতে পারে বিজেপি। যেখানে প্রথম দফায় সরকার চালাবে বিজেপি এবং বাকিটা শিবসেনা। বৈঠক সফল হলে শপথ গ্রহনেও কোনও দেরি করবে না বিজেপি। আগামী বুধবারের তা সম্পন্ন করে ফেলতে চায় তাঁরা। তবে রাজনীতিতে না আঁচালে বিশ্বাস নেই। তাই বৈঠক হওয়ার আগে অবধি মুখ খুলছে না কোনো পক্ষই।