ফিফটি ফিফটি ফর্মুলা মেনে সরকার গঠনের জন্য বিজেপির ওপর চাপ অব্যাহত রাখছে শিবসেনা। নিজেদের অবস্থানে দৃঢ় থেকে ক্রমশই বিজেপিকে আরও কোণঠাসা করছে তাঁরা। ক্রমাগত ‘মুঘলদের মতো হুমকি’ দিতে থাকা গেরুয়া শিবিরের ওপর এবার সংখ্যা দেখিয়ে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করল তারা। সাফ জানিয়ে দিল, বিজেপি দাবি না মানলে ওদের বাদ দিয়েই মহারাষ্ট্রে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থনে সরকার গড়ে ফেলতে পারে তারা।
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘১৭০ জন বিধায়ক শিবসেনার সঙ্গে আছেন। শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী স্থির করবে দল। বিজেপির সঙ্গে ঝামেলা মেটেনি। সরকার গঠন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি এখনও। মুখ্যমন্ত্রী পদের ভাগ নিয়েই একমাত্র কথা হতে পারে বিজেপির সঙ্গে। ঔদ্ধত্যের কাদায় রথের চাকা বসে গিয়েছে।’ আর শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিবসেনা ক্ষমতায় থাকছে কিনা আগামী দিনেই জানতে পারবেন আপনারা।’
গতকাল বিজেপিকে বিঁধে দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’য় শিবসেনা লিখেছে, ‘বিজেপি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হওয়ায় শিবসেনা সরকার গড়ার দাবি জানাবে। এনসিপি, কংগ্রেস এবং অন্যদের সঙ্গে নিয়ে সংখ্যা ১৭০-এ পৌঁছেছি আমরা। ভোটের আগে শিবসেনার সঙ্গে জোট না করলে ১০৫টি আসন জোটাতে পারত না বিজেপি।’ দলীয় মুখপত্রে এ কথাও জানানো হয়েছে, মতাদর্শগত ভাবে শিবসেনা, কংগ্রেস আর এনসিপি আলাদা হলেও অভিন্ন কর্মসূচীর ভিত্তিতে তারা কাজ করতে পারে।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই শিবসেনাকে সরকার গড়ার ব্যাপারে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন এনসিপির মুখপাত্র নবাব মালিক। তিনি টুইট করে বলেছেন, ‘বিজেপিকে বাদ দিয়ে শিবসেনা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষের সরকার গড়তে চাইলে অবশ্যই ইতিবাচক মনোভাব দেখাবে এনসিপি। মানুষের স্বার্থে সরকার গড়তে চাইলে তবেই বিকল্প পাওয়া সম্ভব।’
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে ২৮৮ আসনের বিধানসভায় বিজেপি পেয়ছে ১০৫ আসন। শিবসেনা ৫৬। এনসিপি ৫৪ এবং কংগ্রেস ৪৪। আজ, সোমবার দিল্লীতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বসার কথা এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের। সেখানেই দু’দলের অবস্থান পাকা হতে পারে। তার ঠিক আগেই শিবসেনার এই বার্তা যে গেরুয়া শিবিরের কপালে ভাঁজ ফেলেছে, তা বলাই বাহুল্য।