একেই বোধ হয় বলে ঘুরে দাঁড়ানো। রবিবার, দিল্লিতে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টি২০ ম্যাচটা সাত উইকেটে জিতে নিল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম কোনও টি২০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটাও স্পর্শ করে ফেললেন মুশফিকুররা। গতকাল অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে জেতালেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তাঁর হাফ সেঞ্চুরিতেই জয় পেল বাংলাদেশ।
টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। প্রথম ওভারেই অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেট হারায় ভারত। অন্যদিকে শিখর ধাওয়ান ভাল খেললেও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল। বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের গতিও কম ছিল। ধাওয়ান ৪১ করে রানআউট হন। শেষ দিকে ক্রুনাল ও ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্যাটে ১৪৮ তোলে ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে লিটন দাস আউট হলেও পার্টনারশিপ গড়েন সৌম্য সরকার ও নঈম। চাহালের বলে নঈম আউট হলে ব্যাট করতে নামেন মুশফিকুর রহিম। প্রথমে সৌম্য ও পরে মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়লেন তিনি। শেষ ১২ বলে জিততে দরকার ছিল ২২ রান। খলিল আহমেদের এক ওভারে ১৮ রান নিলেন মুশফিকুর। নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন তিনি।
একে ভারতের মতো প্রবল প্রতিপক্ষ। তার উপর হোমগ্রাউন্ডেই মেন ইন ব্লু-দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। দূষণের কারণে স্বস্তি ছিল না অনুশীলনেও। তবুও, সেই লড়াই নিয়ে উৎসাহের যেন অন্ত ছিল না। কী ঘটবে মাঠে? এ নিয়ে পদ্মার এ পারের চেয়ে ও পারেই উত্তেজনা সবচেয়ে বেশি ছিল। মনে সংশয়, মুখে, কী হয় জিজ্ঞাসা। শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি২০-র হাজার তম ম্যাচটি পকেটে পুরে নিল তারা। আর সেই জয় উৎসর্গ করা হলো দলের দুই অগ্রজ সাকিব আর তামিমকে। সৌম্য সরকারের মুখে এ দিন উঠে এসেছে টিম বাংলাদেশের কথা। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকে শান্তশিষ্ট ছিল। আমরা সবাই ইতিবাচক চিন্তা করছিলাম। তামিম ও সাকিব সিনিয়র খেলোয়াড়। আমরা এই জয়টা তাদের উৎসর্গ করতে চাই।’
গতকাল কার্যত ভাঙাচোরা দল নিয়ে এসে বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারিয়ে দিয়ে গেল এমন একটা দেশকে, যেখানে আইপিএলের হাত ধরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিপ্লব ঘটেছে বলা যায়। দু’দলেই বেশ কয়েক জন অনভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছিল। বিশেষ করে বোলিংয়ে। সেখানে দাঁড়িয়ে বাজিমাত করল বাংলাদেশই।