মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে সপ্তাহ পার হতে চলল। তবে এখনও কে মহারাষ্ট্রের মসনদে বসবেন তা ঠিক হয়নি। এই রাজ্যের অন্যতম শক্তিশালী দল তথা বিজেপির শরিক শিবসেনার সঙ্গে মত পার্থক্যের জেরে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে টালবাহানা চলছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁট ছড়া বাঁধতে পারে শিবসেনা এমন খবরেও সরগরম রাজনীতির আবহাওয়া। সেই জল্পনাকে আরও উস্কে দিলেন এনসিপি-রই মুখপাত্র নবাব মালিক। শনিবার তিনি বলেন, “জনগণের স্বার্থে শিবসেনা যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, বিকল্প রাস্তা খোলা আছে। এনসিপি সে ক্ষেত্রে ‘সদর্থক ভূমিকা’ নিতে পারে।” পাশাপাশি তিনি এই বার্তাও দিয়ে রাখেন, উদ্যোগটা কিন্তু শিবসেনার তরফ থেকেই আসতে হবে।
এর পরই বিজেপিকে আক্রমণ করেন মালিক। মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে যদি কোনও সমাধানসূত্র না বেরোয়, তা হলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে— শুক্রবার এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সুধীর মুনগন্টীওয়ার। এ প্রসঙ্গে মালিকের পাল্টা হুঁশিয়ারি, রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনেই তাঁদের দল রাজ্যকে সঠিক দিশা দেখাবে। তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শ্বাসরুদ্ধ হতে দেব না। রাজ্যকে আমরা বিকল্প সরকার দিতে প্রস্তুত। কিন্তু শিবসেনা এবং অন্য দলগুলোকে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে হবে।” যদিও শিবসেনার তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় যাবে, না কি শেষমেশ জল্পনাকে সত্যি করে এনসিপি-র হাত ধরবে এখন সে দিকে তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে সপ্তাহ পার হতে চলল। তবে এখনও কে মহারাষ্ট্রের মসনদে বসবেন তা ঠিক হয়নি। এই রাজ্যের অন্যতম শক্তিশালী দল তথা বিজেপির শরিক শিবসেনার সঙ্গে মত পার্থক্যের জেরে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে টালবাহানা চলছে। ব্যাপক বিতর্ককে সঙ্গী করে এই মুহূর্তেও শিবসেনা-বিজেপি টক্কর এগিয়ে চলেছে। আধাআধি সময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছে শিবসেনা। আর সেখানেই বেঁকে বসেছে বিজেপি। সেনা পরিবারের উজ্জ্বল মুখ আদিত্য ঠাকরে ভোট জেতার পর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয় তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চাইছে শিবসেনা।