মোদী সরকারের আর্থিক নীতি দিশাহীন বলে মনে করেন তিনি। নোবেল জয়ের পর প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারেও এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা রীতিমতো সঙ্কটজনক। যে কারণে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বামঘেঁষা বলে দুচ্ছাই করেছেন মোদী সরকারের তাবড় মন্ত্রী। অর্থনীতিবিদ-অধ্যাপককে নিম্নরুচির আক্রমণ করেছেন রাজ্য বিজেপির এক মস্ত নেতাও। তবে সেই সময়ও অভিজিতের পাশে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিজিৎকে ফের বাংলাকে নিয়ে কাজ করার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি৷ এবার মমতার পথে হেঁটেই উড়িষ্যা সরকার অভিজিৎ এবং তাঁর নোবেলজয়ী স্ত্রী এস্থার ডাফলোর মতাদর্শকে কাজে লাগাতে একধাপ এগিয়ে গেল।
দারিদ্র দূরীকরণের স্বার্থে প্রাজ্ঞ অর্থনীতিবিদ দম্পতির সংস্থা ‘আবদুল লতিফ জামিল পভার্টি অ্যাকশন ল্যাব’ (জে-প্যাল)-এর সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হল সে রাজ্যের ‘ফাইভ-টি ইনিশিয়েটিভ’। এই ‘ফাইভ-টি ইনিশিয়েটিভ’ হল ‘টিমওয়ার্ক, টেকনোলজি, ট্রান্সপারেন্সি, টাইম, ট্রান্সফরমেশন’- উড়িষ্যাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের নতুন নীতি। মউ স্বাক্ষর করে পট্টনায়েক বলেছেন, ‘ফাইভ-টি উদ্যোগের আওতায় জে-প্যাল (দক্ষিণ এশিয়া)-এর সঙ্গে জোট করেছে রাজ্য সরকার। আমাদের রাজ্যে বিভিন্ন বিভাগে উন্নয়ন এবং জনকল্যাণের উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ।’ সরকারের এক শীর্ষ কর্তা জানান, গবেষণাভিত্তিক নীতি তৈরি করে বৃহত্তর জনজীবনে সদর্থক পরিবর্তন আনাই এই যৌথ উদ্যোগের উদ্দেশ্য। জে-প্যাল এবং ফাইভ-টির যৌথ উদ্যোগ মূলত দারিদ্র দূরীকরণে উন্নয়নমূলক প্রকল্প নির্ধারণে জোর দেবে।