যখনই দল বিপদে পড়েছে, তখনই ত্রাতা হিসেবে সামনে এসেছেন তিনি। তাঁর পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হয় বিশ্ববাসী। সেই জাদু আরও একবার দেখা গেল বৃহস্পতিবারের ম্যাচে। স্পটকিক থেকে গড়ানো শটে লক্ষ্যভেদ করেই পরিচিত ভঙ্গিতে কর্নার ফ্ল্যাগের দিকে দৌড় শুরু রোনাল্ডোর। তারপর সেই গর্বিত বিজয়ীর লাফ। লিগ তালিকার শেষের সারির জেনোয়ার বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পাওয়ায় তখন স্বস্তিতে ওল্ড লেডি অব তুরিনের অনুরাগীরাও। এই ম্যাচে জুভেন্তাসের পয়েন্ট নষ্ট হলে সিরি-এ টেবলের শীর্ষে পৌঁছাত আন্তোনিও কন্তের প্রশিক্ষণাধীন ইন্তার মিলান। কিন্তু তা হতে দিলেন না এক এবং অদ্বিতীয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
ঘরের মাঠে খেলা হলেও বুধবার কাঙ্ক্ষিত ছন্দে ছিল না জুভেন্তাস। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে জেনোয়া বাড়তি জমি উপহার দেয়নি প্রতিপক্ষকে। তাই উইং দিয়ে আক্রমণ শানিয়েই গোলের পথ তৈরি করতে চেয়েছিলেন রোনাল্ডোরা। প্রথমার্ধে পাওলো ডায়বালা দু’বার সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন। ৩৬ মিনিটে বেনটাঙ্কুরের কর্নার থেকে হেডে জুভেন্তাসকে কাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেন বোনুচ্চি (১-০)। তবে এই ব্যবধান দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ৪০ মিনিটে জেনোয়াকে সমতায় ফেরান কৌয়াম। ডানদিক থেকে আগুদেলোর পাস পাস পেয়ে নেওয়া তাঁর শট বোনুচ্চির গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে জড়ায় (১-১)। জুভেন্তাসের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি বুফোঁর কিছুই করার ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই দ্বিতীয় গোলের জন্য ঝাঁপায়। এই পর্বে খেলা হয়েছে চড়া মেজাজে। সংযোজিত সময়ে ঠিক দিকে শরীর ছুঁড়েও তিনি অবশ্য রুখতে পারেননি রোনাল্ডোর স্পটকিক (২-১)।
ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে জুভেন্তাসের কোচ মরিসিও সারি বলেন, ‘চোটগ্রস্ত পানিচ এবং ইগুয়েন না থাকলেও আমরা তিন পয়েন্ট পেয়েছি। এটা অবশ্যই ইতিবাচক ব্যাপার। পানিচ না থাকায় মাঝমাঠ সংগঠন কিছুটা হলেও অবিন্যস্ত দেখিয়েছে। বিপক্ষ বক্সে ইগুয়েনও যথেষ্ট কার্যকরী। শেষ ৪০ মিনিট ও বারবার ডিফেন্ডারদের ডিসটার্ব করতে পারে। তবে এটাই ফুটবল। চোট-আঘাত কিংবা কার্ড সমস্যা থাকবেই। তা নিয়েই এগিয়ে চলতে হবে।’ শীর্ষ স্থানটা ধরে রাখাই এখন লক্ষ্য জুভেন্তাসের ফুটবলারদের।