গত ৫ আগস্ট সংসদে ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজের ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে বিল পাশ করিয়ে কাশ্মীর থেকে লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করার ঘোষণা করেন তিনি। তারপর থেকে প্রায় আড়াই মাস ধরে ‘তালাবন্ধ’ পরিস্থিতি ছিল ছিল উপত্যকায়। ছিল না ফোন বা ইন্টারনেট পরিষেবা। বন্ধ ছিল প্রত্যেকটি স্কুল-কলেজ-অফিস। অবশেষে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পরে মাত্র ১২ দিন আগে পর্যটকদের জন্য ভূস্বর্গের দরজা খুলে দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু বাঙালি শ্রমিকদের ওপরে জঙ্গী হানার পরে ভূস্বর্গের আকাশে আবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পর্যটকেরা!
পুজোর মরসুমে কাশ্মীরের পথে আতঙ্কের কাঁটা থাকলেও সম্প্রতি প্রশাসনের আশ্বাসে বাংলার ভ্রমণার্থীরা ফের আশার আলো দেখছিলেন। কিন্তু জঙ্গীরা মঙ্গলবার কুলগামের কাতরাসু গ্রামে পাঁচ বাঙালি শ্রমিককে ঘর থেকে বার করে গুলি করে হত্যা করার পরই ভূস্বর্গ ভ্রমণে বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে। শ্রমিক খুনের পরে এখন বা গরমের ছুটিতে পর্যটকদের কাশ্মীরে পাঠাতে ভরসা পাচ্ছে না ভ্রমণ সংস্থাগুলি। রাজ্যের বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার কর্তারা স্পষ্টই বলছেন, ‘জেনেশুনে তো কাউকে আগুনে ঠেলে দেওয়া যায় না।’ সব মিলিয়ে ভূস্বর্গের দরজা ফের বন্ধ। ফের অনিশ্চয়তা সেখানকার পর্যটনে।
কয়েক মাস আগে নাশকতার আশঙ্কায় অমরনাথ যাত্রা বাতিল করে পর্যটকদের উপত্যকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার। তার পরেই সেখানে ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। তার জেরে উৎসবের মরশুমে ভূস্বর্গ ভ্রমণে রাশ টানা হয়। তবে তার প্রায় আড়াই মাস পর ১৬ অক্টোবর পর্যটকদের জন্য ভূস্বর্গের দরজা ফের খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে প্রশাসন। তবে তার পরেই ঘটল ভিনরাজ্যের শ্রমিক হত্যার মতো বড়সড় বিপত্তি। এত দিন কাশ্মীরের প্রশাসনিক কর্তা, সেনাবাহিনীর উপরে হামলা চালাত জঙ্গীরা। এবার সেখানে সাধারণ মানুষের ওপরে আক্রমণ শুরু হওয়ায় রাজ্যের ভ্রমণ সংস্থার মালিকদের চিন্তা বেড়েছে।