মধ্যপ্রদেশে শিশুদের অপুষ্টির হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। তাই মধ্যপ্রদেশের স্কুলগুলির মিড ডে মিলে ডিম খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমল নাথ মন্ত্রিসভা। ডিম থেকে প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাবে শিশুরা, সেই কারণেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। এবার তা নিয়ে শুরু হল বিতর্ক। রাজ্যের বিজেপি নেতা গোপাল ভার্গব বলছেন, ছোট থেকে ডিম খেতে থাকলে শিশুরা বড় হয়ে নরখাদক হয়ে যেতে পারে। নিরামিষ খাবারের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক গোপাল ভার্গব বলেন, ‘যদি ছোট থেকে আমরা আমিষ খাবার খাই, তাহলে একদিন নরখাদকে পরিণত হব।’ বুধবার মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা গোপাল ভার্গব।
আমিষ খাবারের কুফল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ‘ভারত যে সংস্কার মেনে চলে সেই সনাতন সংস্কৃতিতে মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। এটা না মেনে যদি ছোটবেলা থেকে আমরা মাংস খাই তাহলে একদিন নরখাদকে পরিণত হব। তবে অপুষ্টিতে ভোগা একটি সরকারের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কী আশা করতে পারি? যারা ডিম খেতে চাইছে না তাদেরও ডিম দিচ্ছে ওরা। এভাবে মানুষকে যা খুশি খাওয়ার জন্য জোর করা যায় না।’
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করলেও অবশ্য সরকারি পরিকল্পনায় কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। বুধবারও এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন মধ্যপ্রদেশের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী ইমারতী দেবী। অপুষ্টির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য আগামী মাস থেকে অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলগুলির মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া চালু হবে বলে জানান। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিরোধীরা যা খুশি তাই বলতে পারে। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের যে ডাক্তাররা চিকিৎসা করছেন তাঁরা ডিম খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। ডিম শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে জানিয়েছেন। তাই ডিম ভাল।’