কাশ্মীরে জঙ্গিহানায় পাঁচ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা কেন্দ্রীয় সরকারকেই কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা পূর্ব পরিকল্পিত হামলা। ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল যখন কাশ্মীরে, তখন এই ধরনের হামলা হল কীভাবে?’ প্রসঙ্গত, কুলগামের ঘটনার দিনই টুইটে নিন্দার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ‘কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব কেন্দ্রের।’
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/418280142427309/
বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থা এএনআইকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গোটা প্রশাসনই তো কেন্দ্রের হাতে। ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের জন্য এত নিরাপত্তা, সতর্কতার পরও কীভাবে শ্রমিকরা খুন হয়ে গেলেন? কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত। মনে রাখতে হবে, কাশ্মীরে কিন্তু কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই।’ ইউরোপীয় সাংসদদের কাশ্মীর সফরের সময়ই জঙ্গিদের গুলিতে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রসঙ্গে আজ তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘বিদেশি অতিথিদের সামনে কাশ্মীরে এমন ঘটনায় দেশের বদনাম হয়।’
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিহতদের কফিনবন্দী দেহ মুর্শিদাবাদে নিয়ে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুর্শিদাবাদে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন কাশ্মীরের কুলগামে কাজ করতে যাওয়া মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির পাঁচ বাসিন্দা।