বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফুটতেই বহালনগরে পৌঁছল কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত পাঁচ শ্রমিকের কফিনবন্দি নিথর দেহ। আজ গ্রামেই তাঁদের শেষকৃত্য। মঙ্গলবার রাত্রি ১১টা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনা হয় কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশকর্মীদের। এই হত্যার নিন্দা করে ইতিমধ্যেই নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন মমতা। নিহতদের পরিবারের হাতে সেই টাকা পৌঁছে দেবেন ফিরহাদ হাকিমই। এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন ফিরহাদ।
কাশ্মীরের জঙ্গিদের গুলিতে বাংলার পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আজ মুর্শিদাবাদে পাঁচ শ্রমিকের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে এসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন, ৩৭০ ধারা উচ্ছেদ করে কি লাভ হলো? কেন বাংলার পাঁচ নিরীহ শ্রমিককে খুন করা হলো? শ্রমিক খুন নিয়ে কেন্দ্র নীরব কেন? এর জবাব দিতে হবে অমিত শাহকে। তিনি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
পাশাপাশি তিনি শ্রমিকদের বাইরে কাজে যাওয়ার ব্যাপারে বলেন,বাংলার মানুষ বাইরে যাবে, বাইরের মানুষ বাংলায় আসবে এটাই স্বাভাবিক। অন্য রাজ্যের মানুষ বাংলায় এসে নিরাপদ রইলেও বাংলার শ্রমিকদের নিরাপত্তা নেই কেন ? প্রশ্ন তুলেছেন ফিরহাদ।
ফিরহাদ আরও বলেন, ‘‘এই নিহত শ্রমিকদের পরিবারের কান্নার মুখোমুখি হতে হবে আমায়। তাঁরা নিশ্চয়ই প্রশ্ন করবেন, ভারতে থেকে ভারতীয়রা কতদিন মারা যাবে? কেন্দ্রীয় সরকার বলবে, সব ঠিক আছে। কিন্তু কাশ্মীর, আসাম সর্বত্র বাংলার ছেলে মারা যাচ্ছে। কতদিন বাঙালি প্রাণ দেবে। আমরা মর্মাহত। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ চাই।’’ নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি আলাদা করে কথা বলেন। আশ্বাস দেন পাশে থাকার। ফিরহাদের কথায়, কাশ্মীরে কাজ করতে যাওয়া ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রের। কেন্দ্রকেই এর জবাব দিতে হবে।