জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে সন্ত্রাসীবাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বাংলার ৫ শ্রমিক। তাঁরা সকলেই ছিলেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার সকালে একটি টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কাশ্মীরের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। অন্য কোন রাজনৈতিক দলকে সেখানে কোনো কর্মসূচি নিতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই আমরা ওই ঘটনার শক্তিশালী তদন্ত দাবি করছি। যাতে সত্যটা সকলের সামনে আসে’। একইসঙ্গে বাংলার ওই পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে রাজ্য সরকার নিজে অনুসন্ধান করবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সঞ্জয় সিংহকে ওই ঘটনা সম্পর্কে সরেজমিনে তথ্য সন্ধান করতে ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তাঁর নির্দেশে এদিন সকালেই তৃণমূলের স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়কদের এক প্রতিনিধিদল নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।
উপত্যকায় বাঙালি হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আগেই সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘কাশ্মীরে ৫ বাঙালি শ্রমিকের হত্যার ঘটনায় আমি হতবাক এবং চরম দুঃখিত। মুর্শিদাবাদের পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিবারের প্রতি সমস্তরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে রাজ্য সরকার।’