ভাই-বোনের সম্প্রীতির বন্ধন শুধুমাত্র রক্তের সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ ছড়িয়ে দিতে সোমবার শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনের কাছে যতীন মৈত্র পার্কে হয়ে গেল এক অভিনব অনুষ্ঠান। যৌনকর্মী ও রূপান্তরিতদের নিয়ে ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছিল। তাঁরা একে অপরকে ফোঁটা দিয়ে পরস্পরের জন্য মঙ্গলকামনা করেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘সংবেদন’–এর বিশেষ পড়ুয়ারা।
এই উৎসবের মরশুমে কে সি দাশ, নকুড়ের মতো নামী হরেকরকম মিষ্টি, সন্দেশ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিও ভিড় সামলাতে প্রস্তুত। শীত না আসুক, এই বিশেষ দিন গুড়ের সন্দেশ ভাইকে খাওয়াতে পছন্দ করেন সব বোনেরাই। উত্তর কলকাতার নকুড় এনেছে গুড়ের জলভরা সন্দেশ। একটির দাম ৩০ টাকা। এ ছাড়াও কেশরের কাঁচাগোল্লা এবং কেশরের উৎসবও ক্রেতাদের পছন্দের। প্রথমটির দাম ২০ টাকা, দ্বিতীয়টি ৩০ টাকা। রয়েছে রোস্টেড বাদামের সন্দেশও। অন্যদিকে, কে সি দাশ নিয়ে এসেছে ভাইফোঁটার ছাঁচ দেওয়া সন্দেশ।
ভাইফোঁটায় মাছ বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়া দামে। চিংড়ি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, পাবদা ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পমফ্রেট ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে মানিকতলা বাজারে। ৯০০ থেকে ১২০০ কেজির ইলিশের দাম ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। মটন কোথাও ৬৫০ কোথাও ৬৬০ টাকা কেজি। তবে দাম যাই হোক, ফিউশন মিষ্টি থেকে মাছ–মাংসের নানান পদ ভাইদের পাতে সাজিয়ে দিতে রেডি বোনেরা।
তবে ভাইফোঁটা উপলক্ষে কোনও কোনও দোকানে রোজকার মিষ্টি আকারে ছোট করে দেওয়া হয়েছে। বিক্রেতাদের কথায়, মিষ্টির দাম বাড়ালে ক্রেতার সংখ্যা কমবে। তাই দাম এক রেখে মিষ্টি আকারে ছোট করা হয়েছে।