মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে বিজেপি-শিবসেনা কাজিয়া তুঙ্গে। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দিলেন, জোট করতে আগ্রহী সেনা। কিন্তু এনিয়ে আমাদের ওপরে চাপ সৃষ্টি করতে পারে না বিজেপি। আমাদের হাতে অন্য বিকল্পও রয়েছে।
বিধানসভার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরও মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন এখন বিশবাঁও জলে। ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলায় শিবসেনা চাইছে আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকুক তাদের দল থেকে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তারা নাম করেছে উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের নাম।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার পাল্টা তোপ দেগেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসও। তিনি বলেন, ৫০-৫০ ফর্মুলার কোনও ব্যাপার নেই। পালা করে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনও লিখিত চুক্তি শিবসেনার সঙ্গে করেনি বিজেপি। আগামী ৫ বছরে মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপি থেকেই।
সরকার গঠন নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছেন সঞ্জয়। বলেছেন, শিবসেনায় কোনও দুষ্মন্ত চৌটালা নেই যে নিজের বাবাকে ছাড়ানোর জন্য জোটে মাথা গলাতে হবে। সত্য ও ন্যায়ের ওপরে ভিত্তি করে রাজনীতি করে শিবসেনা। শরদজি বিজেপির কাছ যাবেন না। বাকিটা বুঝুক বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সমঝোতা করে লড়াই করেছে বিজেপি-শিবসেনা। স্বভাবতাই ১৫০ আসনে লড়ে অস্বাভাবিক কিছু না ঘটলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেত না বিজেপি। সেই সুযোগটাই ভোটের পর তুলছে শিবসেনা। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ১০৫টি আসন। শিবসেনা পেয়েছে ৫৬। সরকার গঠনের যাদুসংখ্যা ১৪৫। ফলে জোট ছাড়া কোনওভাবেই সরকার গড়তে পারবে না বিজেপি। আর মোদী-শাহকে মহারাষ্ট্রে আটকাতে শিবসেনাকে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার আভাস দিয়ে দিয়েছে এনসিপি-কংগ্রেস। শিবসেনা বিগড়ে যাওয়ায় বিজেপিও শরদ পাওয়ারের দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সবে মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে শিবসেনা বিজেপিকে প্রবল বেগ দেবে বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের।