ইভিএম কারচুপি সম্ভব। মহারাষ্ট্রের সাতরা জেলার একটি বুথে ভোটগ্রহণের সময় দেখা গিয়েছে, যে কোনও প্রতীকে বোতাম টিপলে ভোট পদ্মফুলেই গিয়ে পড়ছে। ভিভিপ্যাটেও তা দেখা গিয়েছে। তার জেরে ইভিএমের কারচুপি নিয়ে মমতার তোলা অভিযোগ আরও পোক্ত হল বলেই তৃণমূলের দাবি।
ওই দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তৃণমূলের একাধিক বিধায়কের দাবি, নেত্রী এতদিন ধরে যে আশঙ্কার কথা বলে আসছিলেন, তার প্রমাণ মিলল। দলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিরোধী নেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে সচিত্র পরিচয়পত্র চালুর দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। যার জেরে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই ধর্মতলায় পুলিসের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন ১৩ জন। ইতিহাস সাক্ষী আছে নেত্রীর সেদিনকার দাবি গোটা দেশে স্বীকৃতি পেয়েছিল। পার্থবাবুর মতে, বিজেপি ইভিএমে কারচুপি করতে পারে, সেই আশঙ্কা ভোটের আগে থেকেই জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যাশিতভাবেই বিজেপি তৃণমূল নেত্রীর সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল। পার্থবাবু মনে করেন, কারচুপি সম্ভব নয় বলে যারা চিৎকার করছিল, মহারাষ্ট্রের ওই ঘটনা তাদের চোখ খুলে দিয়েছে। এই আশঙ্কার কথা অনেক আগেই নেত্রী বলেছিলেন। মহারাষ্ট্রের ওই দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে ব্যালট ফেরানোর পক্ষে প্রচারে জোর দেবে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, এই বিতর্ক থামতে না থামতেই মহারাষ্ট্রে ভোট গ্রহণের দিন কোরেগাঁওতে একটি বুথে প্রায় দুশোটি ভোট পড়ে যাওয়ার পর গরমিল ধরা পড়ে। ওই বুথের ভিভিপ্যাট স্লিপ দেখে অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয় কমিশন। দেখা গিয়েছে, সব ভোট বিজেপির পক্ষেই পড়ছে। কমিশন অবশ্য সেই ইভিএম বদলে দেয়।