টিটি খেলার মঞ্চে দুই কন্যা আবারও উজ্জ্বল করল বাংলার মুখ। টিটি ফাইনালে উঠলেন বাংলার দুই মেয়ে প্রাপ্তি সেন এবং মৌমিতা দত্ত ফাইনালে।
মায়ের কষ্ট ঘোচানোর জন্যই আরও সাফল্য চাইছেন নৈহাটির টেবল টেনিস খেলোয়াড় মৌমিতা দত্ত। আর সেই লক্ষ্যে এগোনোর জন্যই হাওড়ার ডুমুরজলা ইন্ডোরে পূর্বাঞ্চল টিটির যুব বিভাগের ফাইনালে উঠলেন মৌমিতা। সিনিয়র বিভাগেরও প্রি কোয়ার্টারে উঠেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে যুব বিভাগের ফাইনালে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বেহালার প্রাপ্তি সেন। জয়ন্ত পুশিলালের ছাত্রী প্রাপ্তিও সিনিয়র বিভাগের প্রি কোয়ার্টারে উঠেছেন। এই দুই মেয়েই কিন্তু পূর্বাঞ্চল টিটিতে বাংলার মুখ হয়ে উঠতে চলেছেন। এখনও পর্যন্ত ক্যাডেট বিভাগে রূপসা ঘোষাল ছাড়া বাংলার আর কেউ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। সেখানে মেয়েদের যুব বিভাগে যেই চ্যাম্পিয়ন হোক, তা আসবে বাংলার ঘরে।
হাওড়া ডুমুরজলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে খেলছেন জিৎ চন্দ্র। তার বাবা তপন চন্দ্র নামী কোচ ও টুনার্মেন্ট ডিরেক্টর। জিৎ যুব বিভাগের ফাইনালে উঠেছেন। অর্জুন ঘোষের বাবা মিহির ঘোষও রাজ্যের সফল কোচ। অন্য দায়িত্ব নিয়ে তপনবাবু স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকলেও মিহিরবাবু আসছেন না। তবে দুই ছেলেই পরামর্শ নিচ্ছেন বাবার কাছে। বোর্ডের পাশে অবশ্য কোচ হিসেবে থাকছেন সৌম্যদীপ রায়। যাঁর কাছে এখন অনুশীলন করেন ওঁরা। এ রকমই কিশলয় বসাকের মেয়ে অনুষ্কা বসাক, অরূপ বসাকের পেয়ে অনন্যা বসাক, অর্জুন দত্তের মেয়ে অনুষ্কা দত্ত, অংশুমান ভট্টাচার্যের ছেলে অঙ্কুর ভট্টাচার্য সরাসরি বাবাদের পরামর্শ পাচ্ছেন খেলার সময়। কোচেরা বা প্রাক্তন খেলোয়াড়রা নিজেদের খেলায় ছেলে-মেয়েদের আনছেন, এ রকম ঘটনা রাজ্যের অন্য খেলায় খুবই কম।
ছেলেদের বিভাগে জিৎ ফাইনালে উঠলেও সেমিফাইনালে হেরে গেলেন আকাশ পাল। ফলে জিৎ-আকাশের লড়াই হচ্ছে না। তবে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন আকাশ তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছলেন। জিতলেন অ্যান্টনি অমলরাজ, হরমীত দেশাই, মানব ঠক্কর, সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়, ঐহিকা মুখোপাধ্যায়, মৌমিতা দত্ত। এঁরা সকলেই সিনিয়র বিভাগে জিতলেন।