বুধবার গুয়াহাটিতে বসে আসামের দুই সন্তান নীতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দাপুটে বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। গত সোমবার ওই নীতি ঘোষণা করেছে আসামের বিজেপি সরকার। যাতে বলা হয়েছে, কারও দুয়ের বেশি সন্তান হলে আর সরকারি চাকরি করার অধিকার থাকবে না। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই নীতি বলবৎ হবে। আসামের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রাজ্য বিধানসভায় এই মর্মে একটি বিল দু’বছর আগে পাশ হয়েছিল।
এ ব্যাপারে এ দিন হিমন্ত বলেন, “সরকারের এই নীতির সঙ্গে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ভাবতে হবে চাকরি রাখবেন, না দুয়ের বেশি সন্তান চাইবেন।” একই সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “সংখ্যালঘুদের সন্তানের জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা ঠিক নয়। বরং তাঁদের এ ব্যাপারে বোঝানো ও সচেতন করা সবার দায়িত্ব যে ছেলেপুলে কম হলে তাঁদেরই মঙ্গল”।
হিমন্তের কথায়, “সমাজের একটা অংশ অনন্ত সময় ধরে দারিদ্রের মধ্যে দিন কাটাবে এমনটা চলতে পারে না। সংখ্যালঘুরা যদি চান যে তাঁদের উন্নয়ন হোক, তাঁদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষার সুযোগ পান, তা হলে তাঁদেরও বুঝতে হবে যে দুয়ের বেশি সন্তান না হলেই ভাল”।
প্রসঙ্গত, অসমে সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও সামান্য বেশি। আসাম সরকারের বক্তব্য, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীরাই রোল মডেল হয়ে উঠতে পারেন। চাকরিতে ঢোকার সময় বা কর্মরত অবস্থায় দুয়ের বেশি সন্তান হলেই তাঁদের চাকরি খোয়াতে হবে। এ ব্যাপারে কোনও রেয়াত সরকার করবে না।