অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে দাঁড়াতে চাওয়া প্রার্থীদের কাছ থেকে বহুদিন ধরেই টাকা তুলছিলেন তিনি। টাকা না দিলে ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ মিলবে না বলেও হুমকি দিয়েছিলেন। তার জেরে ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির মুখে কালি লাগালেন বহুজন সমাজ পার্টির কর্মী-সমর্থকরা। তারপর তাঁদের গলায় জুতোর মালা দিয়ে গাধার পিঠে চড়ানো হয়। অভূতপূর্ব এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরে, বাণীপার্ক এলাকার পার্টি অফিসের সামনে। ওই দুই নেতার একজন হলেন বিএসপির ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর রামজী গৌতম এবং অন্যজন রাজস্থানের প্রাক্তন সভাপতি সীতারাম। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হওয়ার পরেই ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই টাকা নিয়ে টিকিট বিলির অভিযোগ ছিল। বিষয়টি কেন্দ্র করে জয়পুরের বিভিন্ন এলাকার বিএসপি কর্মীদের মধ্যেও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি স্থানীয় একটি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। তারপরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন অসন্তুষ্ট কর্মীরা। মঙ্গলবার ওই দুই নেতা বাণীপার্কে থাকা বিএসপির অফিসে একটি বৈঠকের জন্য এসেছিলেন। সেসময় এই বিষয়টি নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটিও হয়। এরপরই দুই নেতার মুখে কালি লাগিয়ে দেন উত্তেজিত বিএসপি কর্মী-সমর্থকরা। তারপর দুটি গাধার পিঠে চড়িয়ে পার্টি অফিসের সামনে ঘোরানো হয় তাঁদের।
এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এক বিএসপি কর্মীর অভিযোগ, রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের সময় অন্য দলের হয়ে কাজ করেছেন ওই দুই নেতা। প্রার্থী নির্বাচন নিয়েও দুর্নীতি করেছেন। গত পাঁচ বছর ধরে দলের হয়ে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। উলটে কংগ্রেস ও বিজেপি থেকে সদ্য বিএসপিতে যোগ দেওয়া কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে। মোট তিনবার বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীকে সমস্ত ঘটনা জানানো হলেও এই অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাই নেতাদের দলবিরোধী কাজের প্রতিবাদ জানাতেই এই কাজ করেছেন কর্মীরা।