মোদী সরকারের আর্থিক নীতিরও দিশা নেই বলে মনে করেন তিনি। তাই মোদী জমানায় দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে দফায় দফায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। আর নোবেল জয়ের পর তো আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল বলে মন্তব্য করে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এমনকী মোদী জমানায় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া বৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ করে মোদীকে আদা-পেঁয়াজ-রসুনবিহীন রান্না করে খাওয়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বলেন যে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে কোনও বিতর্কে জড়াতে চান না কারণ এ বিষয়ে আগেই তাঁকে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কোন বিতর্কে জড়াতে পারেন বলে মনে করছেন তিনি? আর কীভাবেই বা তাঁকে সতর্ক করেছেন মোদী?
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অভিজিৎ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী বিরোধী মোদি বিরোধী বলে কীভাবে আমাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হবে তা নিয়ে মজা করেন…তিনি টিভি দেখছেন এবং আপনাদেরও দেখছেন। তিনি জানেন যে আপনারা কী করার চেষ্টা করছেন।’ অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়ে তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের পটভূমির ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলেই ওই জবাব দেন তিনি। বলেন, ‘সঙ্কটটি সঙ্কটজনক ও ভীতিজনক এবং আমাদের এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি পরিবর্তন প্রয়োজন।’ কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) তীব্র সমালোচনা করে তাঁর পরামর্শ, সরকারি খাতের ব্যাঙ্কগুলিতে (পিএসবি) সরকারের অংশকে ৫০ শতাংশেরও কম করা উচিত যাতে নজরদারি সংস্থাগুলি ব্যাঙ্কগুলিতে নিয়ন্ত্রণ এবং ‘হস্তক্ষেপ’ না করতে পারে। তবে, মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতের অধঃপতনের বিষয়ে একটি প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এইচডিআই-তে আমার কোনও অবদান নেই । সুতরাং, আমি এমন কিছু নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না যাতে আমি জড়িত নই।’