নোবেলজয়ী ছেলে বাড়িতে আসছে বলে কথা, তাই বালিগঞ্জের ‘সপ্তপর্ণী’তে এখন সাজ সাজ রব। অর্থনীতি তাঁর প্রিয় বিষয় হতেই পারে। কিন্তু বাঙালি যখন, কলকাতা ফিরলে কবজি ডুবিয়ে খাবেন, সেটা স্বাভাবিক। অন্যথা হয়নি নোবেলজয়ী বাঙালি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও। খাদ্যরসিক, মানে একেবারে মাছে-মাংসে-মিষ্টিতে বাঙালি যাকে বলে আর কী! অতঃপর বাড়িতে এলেই ছেলের হুকুম হয়, “ভাল মাছ নিয়ে এস।” নোবেল জয়ের পর আজই বাড়িতে ফিরছেন সোনার ছেলে, আর তার জন্য মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যস্ততার শেষ নেই।
আজ সন্ধেতেই কলকাতায় পা রাখছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নিজে হাতে সাধ করে রাঁধবেন ছেলের যাবতীয় প্রিয় পদ। সেই পদে থাকছে, মাছের ঝোল, মাটন কাবাব, রসগোল্লার পায়েস, লুচি আলুর দম। মাছের কালিয়া, মাটন কাবাব এবং রসগোল্লার পায়েস রাঁধবেন মা নির্মলা দেবী।
এদিকে কলকাতা ফিরতেই উষ্ণ অভ্যর্থনা নোবেল জয়ীকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত বাংলা। ঘরে ফিরলে আদর করে নিজের হাতের রান্না নানা সুস্বাদু পদ খাওয়াবেন তিনি। অর্থনীতিতে ছেলে নোবেল পাওয়ায় তিনি গর্বিত বোধ করছেন।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ভারতীয়-আমেরিকান অধ্যাপক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী এস্থার ডুফ্লো এবং আরেক অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গে মিলিতভাবে ‘বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে পরীক্ষামূলক পদ্ধতির জন্য’ ২০১৯ সালের নোবেল অর্থনীতি পুরস্কার পান। জানা গেছে, ওই সংবাদ শোনার পর প্রায় ঘণ্টাখানেকের জন্যে ঘুমিয়ে পড়েন প্রবাসী ভারতীয় ওই অর্থনীতিবিদ।
অন্যদিকে, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি নেতাদের বিভিন্ন সমালোচনা শুনতে হলেও সে ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি। এ ব্যাপারে তাঁর মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অভিজিৎ তাঁর বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকেই শান্ত ও নির্লিপ্ত থাকার পদ্ধতি শিখেছেন।