কখনও গাছে বেঁধে বেধড়ক মার, কখনও নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে গোটা গ্রাম, আবার কখনও উচ্চবর্ণে প্রেম করার ‘অপরাধে’ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে প্রকাশ্যেই। গোটা দেশেই দলিতদের উপর নির্যাতন বিপদসীমা পার করে ফেলেছে, এনসিআরবি বা ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরোর সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। আদিবাসী-দলিত সম্প্রদায়ের উপর হিংসাত্মক অপরাধের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে হরিয়ানা। দ্বিতীয় মধ্যপ্রদেশ।
এনআরবির তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে হরিয়ানায় দলিতদের উপর ৭৬২টি হিংসাত্মক অপরাধের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। ২০১৬ সালের থেকে যা ১৯.২৪ শতাংশ বেশি। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী হিংসাত্মক অপরাধের দিক থেকে গোটা দেশের মধ্যে শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ। শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, নারী ও শিশু পাচারের মতো অপরাধের নিরিখে দ্বিতীয়ে মহারাষ্ট্র, তৃতীয় বাংলা।
সমীক্ষা বলছে, ২০১৭ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশেও দলিত নির্যাতন সাঙ্ঘাতিকভাবে বেড়েছে। আদিবাসী মহিলাদের যৌন হেনস্থা, ধর্ষণ, গণপিটুনির ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে ১১,৪৪৪টি। পিছিয়ে নেই বিহারও। ১৮.৩৪ শতাংশ হিংসাত্মক অপরাধের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে সে রাজ্যে। এনআরবির তথ্য বলছে, প্রতি একলক্ষ তফসিলি জাতি বা উপজাতিদের মধ্যে ফি বছর ৪১ জন হিংসার বলি হন।
পুলিশ এবং সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক বছর ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া এবং হোয়্যাটসঅ্যাপে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে সেটা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। ভোটের পরেও ভুয়ো খবর ছড়ানো নজরে এসেছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই শিশু নির্যাতন, যৌন হেনস্থা, বেআইনি লেনদেনের মতো অভিযোগ জমা পড়েছিল ৪৯৭১টি।