একটু বিরুদ্ধ মত পোষণ করলেই তার জাতীয়তাবাদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে ‘দেশদ্রোহী’ তকমাও দিয়ে দেওয়া হয় অবলীলায়। এককথায়, দেশের মানুষকে জাতীয়তাবাদের নতুন পাঠ শেখাচ্ছে বিজেপি। জাতীয়তাবাদীর ‘ধ্বজাধারী’রা এবার এ কোন নমুনা দেখালেন! ‘ভারত মাতা’র হাতে ধরিয়ে দিলেন উল্টো পতাকা!
বিজেপি’র ‘গান্ধী সংকল্প যাত্রা’য় উল্টো জাতীয় পতাকা নিয়ে হল মিছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা এলাকার ঘটনা। প্রশ্ন উঠেছে, সংকল্প যাত্রার প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে। স্থানীয়ভাবে সংকল্প যাত্রা শুরু হয়েছিল রবিবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা এলাকাতে। বেলদা বাইপাস থেকে বেলদা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এই সংকল্প যাত্রায় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিজেপি’র জেলা সভাপতি সমিত দাস। এই সংকল্প যাত্রার সামনের সারিতে বেশকিছু বালিকাকে ‘ভারত মাতা’ সাজিয়ে তাদের হাতে জাতীয় পতাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যেই একটি বড় জাতীয় পতাকা উল্টো করে নিয়ে বেশ কিছুটা পথ হাঁটে ‘ভারত মাতা’রূপী এক বালিকা। কারও নজরে পড়েনি বিষয়টি। বেলদা বাইপাস থেকে বেলদা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পৌঁছনোর পর ‘ভারতমাতা’ রূপী ওই বালিকাকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে। সামনের সারিতে বিজেপি’র জেলা সভাপতি-সহ অন্যান্যরা থাকলেও কেউই খেয়াল করেননি বিষয়টি। তবে পরে বিষয়টি সামনে আসায় বিতর্ক শুরু হয়েছে বেলদা জুড়ে।
তবে এবারই প্রথম নয়। এমন ঘটনা মাঝে মধ্যেই বিজেপির নেতা-নেত্রীরা ঘটান বলে অভিযোগ। একদিন আগেই ওই এলাকার বাসিন্দা বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগোর মূর্তিতে মালা দিয়ে বক্তব্যের সময় বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নাম উচ্চারণের সময় বলেছিলেন ‘হেমন্ত কানুনগো’। এরপর জাতীয় পতাকার উল্টো হওয়া। সব মিলিয়ে এই গান্ধী সংকল্প যাত্রার উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।