আজ সোমবার হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। তবে গতকাল, রবিবার ভোটের ঠিক এক দিন আগেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে টানটান উত্তেজনার আবহে দেশ জুড়ে যুদ্ধজিগির তুলে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি এমনই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। দ্বিতীয় মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এটিই প্রথম পরীক্ষা পরীক্ষা গেরুয়া শিবিরের কাছে। তাই জয় নিশ্চিত করতেই এমন কৌশল বিজেপির- বলছে তারা।
প্রসঙ্গত, মোদী সরকার ক্ষমতায় ফিরতেই কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। নাগরিক পঞ্জীও প্রকাশিত হয়েছে অসমে। আর এই দু’টি বিষয়কে সামনে রেখেই প্রচারে দেশপ্রেমের ঝড় তুলেছেন মোদী-শাহেরা। আসলে বর্তমানে দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ফলে ক্ষমতা ধরে রাখার দায় রয়েছে মোদী-শাহের। কারণ ২০১৪ সালে বিপুল ভাবে লোকসভায় জিতেও দিল্লী ও বিহার বিধানসভায় হেরেছিল বিজেপি। তাই এ বার মেপে পা ফেলছে তারা। শুরু থেকে দু’রাজ্যে দেশপ্রেমকেই প্রচারের প্রধান হাতিয়ার করে এগিয়েছে বিজেপি।
তবে বিরোধীরা আশাবাদী যে, ঝিমিয়ে থাকা অর্থনীতি বিজেপির বিরুদ্ধে রায় দেবে। আর আর্থিক গতি শ্লথ হওয়ার বিষয়টা যেভাবে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে, তাতে উদ্বিগ্ন বিজেপি। ঘরোয়া মহলে তারা মানছে যে, অটো-রিটেল-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাঁটাইয়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আমজনতার ওপরে। মহারাষ্ট্রে কৃষকদের পাশাপাশি অন্য পেশার সাধারণ মানুষও অর্থনীতির দুরবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
আবার ভোটের মুখে পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ (পিএমসি) ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে বিজেপি নেতাদের জড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা, শরদ পওয়ারের সক্রিয়তা বিজেপিকে চিন্তায় রেখেছে মহারাষ্ট্রে। যে কারণে জোটসঙ্গী শিবসেনাকে তুষ্ট করতে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়ার ঘোষণাও করতে হয়েছে শাহকে। আর বিরোধীরা তো স্পষ্টই বলছে, হরিয়ানায় বিজেপির আসন ৩০ পেরোবে না। ফলে সব মিলিয়ে বিজেপি যে যথেষ্ট চাপে, তা স্পষ্ট। উল্লেখ্য, এই দু’রাজ্যেই এক দফায় ভোট। ফলপ্রকাশ ২৪ অক্টোবর।