শুক্রবারই যোগী রাজ্যে নিজের অফিসে দিনের আলোয় খুন হন হিন্দু মহাসভার দাপুটে নেতা কমলেশ তিওয়ারি। খুনের তদন্তে নেমে উদ্ধার করা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনিবার তিন জনকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ধৃতেরা হল শাম্মি পাঠান, ফৌজান পাঠান এবং মৌলবী মহসিন শেখ। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালেই সুরাত থেকে এই তিন জনকে প্রথমে আটক করে গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। তাদের জেরা করার পরই গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, কমলেশকে যাঁরা গুলি করেছিল, সেই দুই শুটারকেও চিহ্নিত করা গিয়েছে। সুরাতের একটি মিষ্টির দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে তাদের ছবিও ধরা পড়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরেই লখনউয়ে খুরশিদ বাগে নিজের বাড়িতে খুন হন হিন্দু মহসভার এই প্রাক্তন নেতা। তাঁকে কুপিয়ে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। কমলেশের খুনের পর থেকেই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁর অনুগামীরা। পুলিশের হাতে যে সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে দুই ব্যক্তি কমলেশের বাড়িতে ঢোকে। ওই দু’জনই কমলেশের খুনের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, কমলেশের বাড়িতে দুষ্কৃতীদের পৌঁছে দিতে এবং সেখান থেকে তাদের সুরক্ষিত অবস্থায় বেরিয়ে যেতে সাহায্য করেছে স্থানীয় কোনও বাসিন্দাই।
অন্যদিকে, এই খুনের পিছনে মহম্মদ মুফতি নইম এবং আনওয়ারউল হক নামে বিজনৌরের দুই মৌলবীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কমলেশের স্ত্রী কিরণ তিওয়ারি। তাঁর অভিযোগ, ২০১৬-য় কমলেশকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন ওই দুই মৌলবী। কিরণের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিন তাঁদের এক জনকে আটকও করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ জানান, ‘দুষ্কৃতীমূলক’ বিষয়ই এই খুনের কারণ, এটা স্পষ্ট। মামলাটি সমাধান করতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স-কে কাজে লাগানো হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতীদের ধরা হবে বলে জানিয়েছেন ডিজি। তিনি আরও জানান, দুষ্কৃতীরা কমলেশের পূর্ব পরিচিত। তারা মিষ্টির বাক্স নিয়ে কমলেশের অফিসে যায়। তাঁর সঙ্গে আধঘণ্টা সময় কাটায়।