বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে টাকা কমিয়েছে কেন্দ্র৷ কিন্তু রাজ্যবাসীর কাছে সামাজিক প্রকল্পের সুবিধে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য ৷ ফলে খরচ বেড়েছে রাজ্যের৷ বাম আমলের দেনা সামলে সেই খরচ মেটাতে গিয়ে বেহাল রাজ্য কোষাগারের অবস্থা৷ ফলে মানুষের স্বার্থে রাজ্যের অযথা করচ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে কেন্দ্রের এই বঞ্চনার বিরুদ্ধেই ফের একবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকেও সরকারি আধিকারিকদের অযথা খরচ কমানোর নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব মলয় দে৷ সরকারি আমলা ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের স্বার্থে বাজে কাজ করবেন না৷ সব সরকারি কাজ দরপত্রের মাধ্যমে করবেন৷ দরপত্রের আগে সেই সরকারি কাজ সমন্ধে দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন৷’ সরকারি খরচ কমাতে গাড়ি থেকে বিদ্যুৎ, সরকারি বৈঠকে খাওয়াদাওয়া, সবেতেই রাশ টেনেছে সরকার৷ খরচ কমাতে জারি করা হয়েছে পনেরো দফা নির্দেশিকাও৷
সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্র বঞ্চনা করে চলেছে অনবরত৷’ ফলে খরচ বেড়েছে রাজ্যের| সরকারি বৈঠকে খাওয়া দাওয়া করবেন কিন্তু যেন অতিরিক্ত খরচ না হয়৷ উদ্বৃত্ত্ব খরচ কমাতে হবে৷’ ফল্টি টেন্ডার এড়ানোর ক্ষেত্রেও সজাগ হওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷সরকারি দপ্তরেই সরকারি কাজ করার নির্দেশ দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান৷ তিনি বলেন, ‘সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত কাজ যেন শেষ হয় সে দিকে নজর রাখতে হবে৷’ সময়ে কাজ না হলে জরিমানার প্রসঙ্গও এদিন সভায় তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একশো দিনের কাজে আরও বেশি যাতে কর্মসংস্থান হয় সেদিকেও বেশি করে নজর দিতে সরকারি আমলাদের নির্দেশ দেন তিনি৷
কেন্দ্র বঞ্চনা করলেও রাজ্য যে মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাবে এদিনের সভা থেকে আরও একবার সেকথাই বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷