বাংলার মানুষ যাতে নির্দ্বিধায় তাঁদের মনের কথা জানাতে পারেন, তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছিলেন ‘দিদিকে বলো’। যেখানে একটি মাত্র ফোনেই মানুষের সমস্যার সমাধান হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছে এই কর্মসূচী। মমতার নির্দেশে দলের সমস্ত নেতা কর্মীরা যোগদান করেছিলেন এই কর্মসূচীতে। খুব শীঘ্রই শুরু হবে কর্মসূচীর দ্বিতীয় ভাগ। গতকাল এই নিয়ে দলীয় বৈঠকও হয়। সেই বৈঠকে যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীতে যাঁরা ফাঁকি দিয়েছেন, তাঁদের দলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে”।
ব্লক স্তরের নেতাদের নিয়ে এ দিন তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে বৈঠক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়, বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে গোটা রাজ্যে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। প্রশাসনিক কাজ-সহ নানা বিষয়ে সাধারণ মানুষের যে ক্ষোভ বা অভিযোগ আছে, তা সব শুনতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত দলীয় নেতাদের এ দিন জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে প্রচারের বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষের মধ্যে কোথাও আতঙ্ক তৈরি হলে তাঁদের পাশে থেকে আশ্বস্ত করতে বলেছেন দলের নেতারা। ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের তৈরি নকশা মেনে কালীপুজোর আগেই তৃণমূলের ব্লক ও শহর সভাপতিদের দু’টি করে গ্রাম পরিদর্শনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। জনসংযোগের লক্ষ্যে এ বার বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি গাঁধীজির জন্মের সার্ধশতবর্ষকে সামনে রেখে ১৯ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ করতে বলা হয়েছে নীচের তলার নেতা-কর্মীদের।
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে প্রথম দফায় বিধায়ক-সহ জনপ্রতিনিধিরা ‘গ্রামদর্শন’-এ গিয়েছেন। তারপর এই কর্মসূচিতে যুক্ত করা হয় দলের যুব সংগঠন এবং সাংসদদের। এ দিন দলের ব্লক ও টাউন সভাপতিদেরও কর্মসূচি নির্দিষ্ট করে দিয়ে যুব সভাপতি অভিষেক সতর্ক-বার্তা দেন, প্রথম দু’দফার কর্মসূচিতে যাঁরা এই কর্মসূচি সম্পূর্ণ করেননি, তাঁদের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।