সম্প্রীতি যাত্রা শুরু করছে তৃণমূল। রাজ্য সরকারের উন্নয়নের সাফল্যকে সামনে রেখে আগামী ১৯ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার থেকে রাজ্যজুড়ে ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ করবে জোড়াফুল শিবির। একাধারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের নানা জনমুখী প্রকল্পের সাফল্য, অন্যদিকে সম্প্রীতির বাতাবরণ নষ্ট করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব হওয়া – এই দুয়ের মিশেলে সম্প্রীতি যাত্রা চলবে আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত।
তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ খবর জানিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, আজ, বুধবার থেকে রাজ্যজুড়ে যে ‘গান্ধী সঙ্কল্প যাত্রা’ শুরুর পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবির, তাকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করার কৌশল হিসেবে ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ করছে জোড়াফুল শিবির। তবে এই কর্মসূচিকে বিজেপি’র পাল্টা হিসেবে বলতে নারাজ তৃণমূলের মহাসচিব। তাঁর কথায়, এটা তাঁদের নিজস্ব কর্মসূচি।
এর আগে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় দলের বিভিন্ন ব্লক ও টাউন সভাপতিদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পার্থবাবু ছাড়াও বৈঠকে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, সাধারণ সম্পাদক অরূপ বিশ্বাস, যুব শাখার সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রিসভার দুই সদস্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মূলত ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনার প্রস্তুতি এবং এই সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রদানই ছিল বৈঠকের মূল অ্যাজেন্ডা।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়। এই পর্যায়ে আগামী ১০ দিন ধরে তৃণমূলের ব্লক ও টাউন স্তরের ৬০০ জন সভাপতি জনসংযোগ করতে ২০০০-এর বেশি গ্রাম ও শহুরে এলাকায় যাবেন। জনসংযোগ যাত্রার এই পর্বে জনসংযোগ সভা, সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনা, গ্রাম-শহরের সেই নির্দিষ্ট এলাকায় বিশিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক, স্থানীয় পার্টি ও বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে নৈশভোজ, দলের কোনও কর্মীর বাড়িতে রাত্রিবাস, কর্মীদের নিয়ে দরজায় দরজায় ঘুরে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ এবং শেষে দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শেষ করতে হবে কর্মসূচি।
বৈঠক শেষে পার্থবাবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বৈঠকে ব্লকের নেতাদের উৎসাহ ছিল লক্ষ্য করার মতো। ২৯ জুলাই এই কর্মসূচি প্রথম ঘোষণা করা হয়। বলা হয় ২০ হাজার গ্রামে নেতারা ঘুরবেন। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ওই টার্গেট সম্পূর্ণ করা হবে। তৃণমূল ভবনে এদিনের বৈঠকে প্রত্যেককেই ‘দিদিকে বলো’ লেখা নতুন ব্যাগ, স্টিকার, ভিজিটিং কার্ড দেওয়া হয়েছে।