লোকসভা ভোটের আগের থেকেই বাংলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস স্থাপনের চেষ্টা করেছে বিজেপি। নির্বাচনের এত দিন বাদেও তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা।কোথাও ভাঙচুর করা হচ্ছে তৃণমূলের পার্টি অফিস, কোথাও মারধর করা হচ্ছে। কোথাও বা খুন করা হচ্ছে। এবার ফের ঘটল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের মত নিন্দনীয় ঘটনা। ঘটনাস্থল খানাকুল।
বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এবার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হায়দার আলির দাবি, ‘সোমবার রাতের অন্ধকারে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। তার পরে লুঠপাট চালায়। তাদের কাছ থেকে মানুষ যতই সরে দাঁড়াচ্ছেন, ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আসলে তারা ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই সন্ত্রাসের পথ নিচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের এই কাজ কিছুতেই মেনে নেবেন না। নির্বাচনে সাধারণ মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন।’
ওই কার্যালয় থেকে পঞ্চায়েতের সাতটি সংসদের দলীয় কাজকর্ম হত। মঙ্গলবার সকালে দলীয় কর্মী–সমর্থকরা দেখতে পান ওই কার্যালয়ের মধ্যে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র ভেঙে দেওয়া হয়েছে। টিভি, পাখা, ২০–২৫টি চেয়ার, আলমারি সব কিছু ভাঙচুর করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাটআউট, ফেস্টুন, ছবি ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। কার্যালয়ের মধ্যে থাকা অন্য মনীষীদের ছবিও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আলমারিতে থাকা দরকারি জিনিসপত্র সব নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। কার্যালয়ের মধ্যে একটি মাইক সেট ছিল। সেটিও তুলে নিয়ে চলে গেছে বিজেপি–র আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীরা। এছাড়া আলমারির মধ্যে বেশ কিছু টাকা ছিল। সেগুলোও খোয়া গেছে।