এনআরসির জেরে আসামে এক ধাক্কায় ঘরছাড়া হয়েছেন ১৯ লক্ষ মানুষ। এবার বাংলাতেও এনআরসির হুঙ্কার ছেড়েছে বিজেপি। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এনআরসির কড়া বিরোধিতা করেছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন নথি না থাকার আতঙ্কে। এবার নাগরিকপঞ্জীর আতঙ্কে প্রাণ হারালেন আলিপুরদুয়ার নিবাসী এক প্রৌঢ়।
আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের শালকুমার এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২/৬ নম্বর বুথের নতুন পাড়া এলাকায় নাগরিকপঞ্জির আতঙ্কে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। নাম সুলতান মিঞা (৪৫)। সোমবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। পরে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শালকুমার এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাবলু কার্জি বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরে সুলতান নাগরিকপঞ্জির আতঙ্কে ভুগছিলেন। ওঁনার বাবার নাম একেক জায়গায় একেক রকম ছিল। নিজের নামেও ভুল ছিল। সেই কারণে ছুটোছুটি করছিল। আমার কাছেও এসেছিলেন। এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে ভাবতেই পারিনি। নাগরিকপঞ্জির আতঙ্কেই ওঁনার মৃত্যু হয়েছে।” এদিকে এই মৃত্যুর খবর শোনার পরই মৃত ব্যক্তির বাড়িতে ছুটে যান আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
গতকালও আসানসোল নিবাসী এক বৃদ্ধা এনআরসি ভয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন।মৃত ওই বৃদ্ধার নাম উমারানি মুখোপাধ্যায় (৬৪)। তিনি চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দা। সেখানে পাঁচের পল্লির সেভেন মার্কেট এলাকায় তিনি থাকতেন। তিনিও নথি আতঙ্কে ভুগছিলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনিও প্রাণ হারিয়েছেন।