এবার আরএসএসের বিরুদ্ধে মুখ খুলল শিখদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা অকাল তখত। তাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ-কে প্রকাশ্যে কাজ করতে দেওয়ার অর্থ জাতিকে বিভক্ত করা। তাই আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাল তারা। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি মূলত আরএসএসের মতাদর্শকেই মেনে চলে।
অকাল তখতের প্রধান জ্ঞানী হরপ্রীত সিং অমৃতসরে বলেন, ‘আমরা মনে করি আরএসএসকে নিষিদ্ধ করা উচিত। ওই সংগঠনটি দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। আরএসএস নেতারা যে সব বিবৃতি দিচ্ছেন তাতে একথাই প্রমাণিত হয়’। জ্ঞানী হরপ্রীত সিং-কে বলা হয়, আরএসএসের সঙ্গে তো কেন্দ্রে শাসক বিজেপির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে বলতে হবে, বিজেপিও দেশের স্বার্থে কাজ করছে না। দেশকে ধ্বংস করাই তাদের লক্ষ্য’।
এর আগেও শিখদের একাধিক ধর্মগুরু আরএসএসের সমালোচনা করেছেন। দশেরা উৎসব উপলক্ষে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছিলেন, ‘ভারতে যাঁরা বসবাস করেন তাঁরা সকলেই হিন্দু। কারণ ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্র’। এরপরেই শিরোমণি গুরুদোয়ারা প্রাবন্ধিক কমিটির সভাপতি গোবিন্দ সিং লঙ্গওয়াল ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন।