দশমীর দিন জিয়াগঞ্জে শিক্ষকের পরিবারের খুনের পর কেটে গিয়েছে ৬ দিন। তবু এখনো কোনও কিনারাই পাননি তদন্তকারীরা। এবার রহস্যের জট খুলতে সন্দেহভাজন সৌভিক বণিকের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন তদন্তকারীরা। তাঁকে জেরার পর প্রকাশ্যে এসেছে একটি ফোনের উপস্থিতিও। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই উধাও সেই ফোনটি। উধাও হওয়া সেই ফোন মিললেই রহস্য উদঘাটন সম্ভব বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
রবিবার তদন্তের স্বার্থে সৌভিক বণিকের প্রাক্তন স্ত্রীর বোলপুরের সীমান্ত পল্লির বাড়িতে হানা দেয় সিআইডি আধিকারিক ও পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে কার্যত আশানুরূপ কোনও ফল মেলেনি। তিনি জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে বিচ্ছেদের পর সৌভিকের সঙ্গে আর কোনওরকম যোগাযোগ নেই তাঁর।
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে একটি ফোনের কথা, যেটি বন্ধুপ্রকাশ পালের বাড়িতে থাকত বলে জানা যাচ্ছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, দশমীর দিন সকাল পর্যন্ত চালু ছিল সেটি। তবে বেলার দিকে সেটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে কি ওই ফোনেই লুকিয়ে আসল রহস্য? ওই ফোন হাতে পেলেই রহস্যের জট খুলবে বলেই মনে করছেন তদন্তাকারীরা।
দশমীর সকালে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল পেশায় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ছেলের দেহ। নৃশংস হত্যাকাণ্ড শিহরিত করেছিল সকলকেই। খবর প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তে নামে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। সহযোগিতা করে সিআইডি।