বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি, তেমন চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। আর এই দুই কারণেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে। গাড়ি শিল্প থেকে বিস্কুট- সর্বত্রই বাজারে চাহিদা বাড়ন্ত। বিক্রি না হওয়ায় বন্ধ করতে হচ্ছে উৎপাদন। এক কথায় বলতে গেলে, দেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে তলানিতে ঠেকছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশের শিল্প উৎপাদনেও। দেশের শিল্পক্ষেত্রে আগস্টের পরিসংখ্যান রীতিমতো হতাশাজনক। বিগত সাত বছরের মধ্যে যা সবথেকে নীচে নেমে এসেছে এবার।
প্রসঙ্গত, আগস্ট মাসের শিল্প-উৎপাদনের যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, দেশে শিল্প উৎপাদনের হার ১.১ শতাংশ কমেছে। অবশ্য শিল্প উৎপাদনের হার গত মাসে ৪.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এর এই প্রেক্ষিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা অটোমোবাইল ক্ষেত্রে। সবচেয়ে পরিস্থিতি খারাপ যাত্রীবাহী যানবাহন এবং দু’চাকার গাড়ির বিক্রিতে। শিল্প সংস্থা সিয়াম-এর তথ্য বলছে, ১৯৯৭-৯৮ সালে পাইকারি গাড়ির বিক্রয় ডেটা রেকর্ডিং শুরু করা হয়েছিল। তারপর থেকে দেশে সামগ্রিক যানবাহন বিক্রিতে এবার রেকর্ড পতন হল। এর আগে ২০১২ সালে উৎপাদনের হার ছিল সর্বনিম্ন ১.৭ শতাংশ।