উদ্দেশ্য ছিল গঙ্গা স্নান সেরে পুজো দেওয়ার কিন্তু মন্দির বন্ধ থাকায় গঙ্গার পাশে একটি রাস্তার ফুটপাথে ঘুমিয়েছিল সবাই। আর আচমকা ঘুমন্ত অবস্থাতেই মানুষগুলিকে পিষে দিল একটি যাত্রীবোঝাই বাস। মর্মান্তিক এই ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের তিনটি শিশু ও চারজন মহিলার। শুক্রবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি পলাতক বাসচালকের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের হাতেরাস এলাকা থেকে বুলন্দশহরে এসেছিল ওই পরিবারটি। রাতে গঙ্গা স্নানের পর নারাউড়া এলাকার একটি ফুটপাথে ঘুমিয়ে পড়েছিল সবাই। পরিকল্পনা ছিল সকালে উঠে স্থানীয় মন্দির দর্শনের পর ফের বাড়ির রাস্তা ধরার। কিন্তু, তাদের সেই পরিকল্পনা আর বাস্তবরূপ পায়নি।
শুক্রবার ভোরে একটি বাস আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাথে উঠে পড়ে। তারপর সেখানে শুয়ে থাকা ওই পরিবারটির সাতজন সদস্যকে পিষে দিয়ে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে পড়ে। আর স্থানীয় লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাস থেকে নেমে পালায় চালক। এদিকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনটি শিশু-সহ চারজন মহিলার।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি পলাতক চালকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ঘাতক বাসটিতে করে একদল তীর্থযাত্রী বৈষ্ণোদেবী থেকে ফিরছিল।