আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা র্যানব্যাক্সির প্রাক্তন কর্ণধার শিবেন্দ্রমোহন সিংহ। ৭৪০ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের বিশেষ অপরাধদমন শাখার তরফে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। শিবেন্দ্রমোহনের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া জালিয়াতির মামলায় নাম রয়েছে তাঁর ভাই মলবেন্দ্র সিংহেরও। মলবেন্দ্র পলাতক, তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
আদালত সূত্রে খবর, এই সংস্থার প্রাক্তন দুই কর্তা সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বকেয়া মেটায়নি একটি জাপানি সংস্থাকে। তারা আদালতে মামলা করলে সেই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে বলা হয় এই দুই কর্তা মালবিন্দর সিং এবং শিবিন্দর সিংকে। আর সেই নির্দেশ পালিত না হলে জেলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত। পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য করা হয়েছে ১১ এপ্রিল।
আর্থিক তছরূপের তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে, শিবেন্দ্র ও মলবেন্দ্র রেলিগেয়ার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। সংস্থার আয়ের টাকায় দেশের বিভিন্ন শহরে একাধিক ফর্টিস হাসপাতাল গড়েন তাঁরা। কিন্তু একই সঙ্গে আত্মসাৎ করতে থাকেন কোটি কোটি টাকা। এভাবেই ৭৪০ টাকা তছরূপ হয়ে যায়। এর পরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে গেলে, দুই ভাইয়ের মধ্যে চরম ঝামেলা লাগে। এর পরেই ধরা পড়ে যান তাঁরা। এ দিন রেলিগেয়ারের চেয়ারম্যান সুনীল গোধওয়ানি-সহ আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
২০০৮ সালে জাপানি সংস্থা দাইচি সানকিয়োকে র্যানব্যাক্সি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড বিক্রি করে দেন শিবেন্দ্র এবং মলবেন্দ্র। তার পর ফর্টিস হেলথকেয়ার এবং রেলিগেয়ারেই মনোনিবেশ করেন তাঁরা। কিন্তু অর্থিক অনটনের জেরে ওই দুই সংস্থার মালিকানাও হাতছাড়া হয় তাঁদের। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রেও এখানেই তা চলবে।