মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমান যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মোড়া, এ বার সুরক্ষার সেই বলয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিমানেও। শোনা যাচ্ছে, কার্যত প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ছোট সংস্করণ উঠে আসবে সেখানে। আগামী বছর জুন মাস থেকে নরেন্দ্র মোদী অত্যাধুনিক ওই বিমান ব্যবহার করবেন বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু, এর খরচ শুনে এখন থেকেই চোখ কপালে উঠেছে বিরোধীদের। দেশের অর্থনীতি যখন পাঁচ শতাংশের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে তখন এই ধরনের বিলাসিতা সাজে না বলেই কটাক্ষ করছে তারা।
তবে শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, আমেরিকার এয়ারফোর্স ওয়ানের ধাঁচে তৈরি হওয়া ওই দুটি বিমান ব্যবহার করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতিও। আর এয়ার ইন্ডিয়ার জায়গায় এই বিমানগুলি দেখভালের দায়িত্ব থাকবে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে।
জানা গেছে, ওই বোয়িং-৭৭৭ বিমানে থাকবে এসপিএস এবং এলএআইআরসিএম প্রযুক্তি। যা আকাশে আচমকা ক্ষেপণাস্ত্র হানা থেকে সুরক্ষা দেবে এই ‘ভিভিআইপি’ বিমানকে। এই প্রযুক্তিতে রেডার জ্যাম হয়ে যাওয়ায় চট করে বিমানের টিকি খুঁজে পাবে না মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও। উত্তাপ মেপে আছড়ে পড়তে চাওয়া ক্ষেপণাস্ত্রকে বোকা বানাতেও নাকি এই প্রযুক্তি পটু। ভারতই প্রথম দেশ, যাকে এই প্রযুক্তি বেচতে রাজি হয়েছে আমেরিকা। মার্কিন কংগ্রেসকে দেওয়া সে দেশের প্রতিরক্ষা দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওই প্রযুক্তি হস্তান্তরে চুক্তি হয়েছে ১৯ কোটি ডলারের (প্রায় ১,৩৩০ কোটি টাকা)। বিশেষ বিমানগুলি ছাড়া তা অবশ্য কাজে লাগবে প্রতিরক্ষার অন্যান্য ক্ষেত্রেও।
জানা গিয়েছে এই বিমানটির রক্ষণাবেক্ষণ ও তেল থেকে শুরু করে সমস্ত সুবিধার জন্য ঘণ্টাপ্রতি প্রায় এক কোটি ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। দেশের আর্থিক অবস্থায় যা বিলাসিতা বলেই মনে করছে বিরোধীরা।‘ট্রাম্পের ঘরে যে ধন আছে’, এ বার তা থাকবে দিল্লীর দরবারেও। কিন্তু কত দামে, প্রশ্ন সেখানেই।