অসহিষ্ণুতা, গণপিটুনির মতো ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত কয়েকমাস আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন দেশের ৪৯জন বুদ্ধিজীবী। আর তারপরেই ওই বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে বিহারে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
বন্দিপুর অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া ৬৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যান চলাচল নিষিদ্ধ করা নিয়ে এখন তেতে রয়েছে কর্নাটক। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে এই মুহূর্তে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ওয়েনাডেই রয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেখানে ওই ৫০ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে এফআইআর দায়ের প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করে যে কেউ যা কিছু বললেই সরকার তাঁকে জেলে ঢুকিয়ে দেবে। তাঁকে আক্রমণের মুখে পড়তে হবে। সংবাদমাধ্যম ভেঙে পড়েছে। এর মধ্যে কোনও লুকোচাপা নেই। সবাই জানে যে কী চলছে’।
মোদী সরকার সমালোচনা শুনতে পারে না বলেও এ দিন অভিযোগ করেন রাহুল। তাঁর দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু বললে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললে, আজকাল জেলে পুরে দেওয়া হয়। পড়তে হয় হামলার মুখেও। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমকেও।’ বুদ্ধিজীবীদের সংহতি জানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, তাঁর কথায়, ‘একজনই দেশ শাসন করতে চাইছেন। চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে একটি মতাদর্শ। সবাইকে চুপ করিয়ে রাখার বন্দোবস্ত চলছে। আর প্রতিবাদ করলেই বলা হচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহী’।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা বুদ্ধিজীবীদের চিঠি নিয়ে বিহারের মুজফফরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সূর্যকান্ত তিওয়ারির কাছে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন সুধীর কুমার ওঝা নামের এক আইনজীবী। সেই পিটিশনকে ঘিরে একটি অর্ডার পাস করেন ম্যাজিস্ট্রেট। সেই অর্ডারের ভিত্তিতেই সদর পুলিশ স্টেশনে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন সুধীরবাবু। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আইপিসির একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রের বিরোধিতা, অস্থিরতা তৈরি করা, ধর্মীয় ভাবাবাগে আঘাত, শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টার মতো অভিযোগ।