এপার বাংলার পাশাপাশি ওপার বাংলায় ও সাড়ম্বরে দুর্গাপুজো উদযাপন হচ্ছে। দেবীর অধিষ্ঠান হয়েছে। বৃহস্পতিবার বোধনের মধ্য দিয়ে পুজোর সূচনা হয়েছে। সেজেছে মণ্ডপ। এবছর আরও এক হাজার মণ্ডপ বেড়ে সারা বাংলাদেশে ৩১ হাজার পুজো হচ্ছে। জানিয়েছে বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদ। ঢাকায় পুজো হচ্ছে ২৩৩টি। তাই আপাতত স্বস্তিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। তাঁর কথায়, “পুজো এলেই আতঙ্ক বাড়ে। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার পরিস্থিতি ভাল হলেও, খুলনায় একজন হিন্দু নেতাকে মাদক ব্যবসায়ী অপবাদে খুন করা হয়েছে। আমরা খুলনায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তিনি মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এই ঘটনা জাতীয়ভাবে প্রভাব না ফেললেও স্থানীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে সন্দেহ নেই”।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, “দুর্গোৎসবে নাশকতার আশঙ্কা নেই। তারপরও কোথাও হামলা হলে তা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত পুলিশ। মণ্ডপগুলোয় আলাদা ফোর্স থাকছে। মণ্ডপগুলোয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে তিন লাখ সদস্য থাকবেন”।
রাজধানী ঢাকায় চারটি মণ্ডপকে আলাদা নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো হল ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মন্দির, ধানমণ্ডি পুজো মণ্ডপ ও বনানী সর্বজনীন পুজো মণ্ডপ। সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশের মোতায়েন ছাড়াও নিরাপত্তার জন্য আর্চওয়ে থেকে শুরু করে সিসিটিভি ক্যামেরা–সহ সবকিছু থাকবে।