মালদহের চাঁচলের জগন্নাথপুর ঘাটে বৃহস্পতিবার রাতে ৪০-৫০ জন যাত্রী বোঝাই নৌকা চলছিল মহনন্দার বুকে। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। মাঝ নদীতে উল্টে গেল যাত্রী বোঝাই ওই নৌকোটি। তাঁদের মধ্যে এক প্রৌঢ় ও দুই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় এখনও উদ্ধার করা যায়নি। সাঁতরে কোনও রকমে পাড়ে উঠেছেন ১২ জন যাত্রী। কিন্তু বাকিদের এখনও হদিশ নেই। রাতে এলাকায় পৌঁছে যান জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘এনডিআরএফ এলাকায় পৌঁচেছে।’’
মাঝ নদীতে উল্টে গেল যাত্রী বোঝাই নৌকো।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ওই নৌকোয় ছোট একটি ইঞ্জিন রয়েছে। তা চালানোও হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, কিন্তু যাত্রীর চাপে মাঝ নদীতে নৌকোয় জল ঢুকতে শুরু করে। মাঝি জল বের করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। চাঁচলের আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরিও রাতের মধ্যেই চলে এসেছেন।
মালদার নৌকাডুবি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন , যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ১৯ জনের চাঁচোল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরন দেওয়া হবে। পরিবহন দপ্তর থেকে ঐ দেশী নৌকার মালিক ও চাঁচোল পঞ্চায়েত সমিতি ১ এর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে, বে আইনি ভাবে লিজ দেওয়ার জন্য।