টেস্টে প্রথম দ্বিশতরানের স্বাদ পেয়ে আপ্লুত মায়াঙ্ক আগরওয়াল। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের খেলার পর এই প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন ব্যাটসম্যানটি বলেন, ‘অনুভূতি প্রকাশের ভাষা আমার অভিধানে নেই। জীবনে প্রথম শতরানকে এভাবে ডাবল করতে পেরে আমি খুশি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। শুধু আমি নই, রহিত শর্মাও দারুণ ব্যাট করেছে। ওর সঙ্গে জুটি বেঁধে আমরা প্রতিপক্ষ বোলিংকে মাথা তুলতে দিইনি।
বুধবার অপরাজিত ৮৪ রান করে টিম হোটেলে ফেরার পরে ছোটবেলার কোচ আর মুরলীধরকে ফোন করেছিলেন মায়াঙ্ক। জানিয়েছিলেন, ক্রিজে রোহিতের বিধ্বংসী মেজাজ দেখে তিনিও প্রভাবিত। যা তাঁর সাহস ও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করেছে। বৃহস্পতিবার ৩৭১ বলে মায়াঙ্ক ২১৫ রান করে মায়াঙ্ক ড্রেসিংরুমে ফেরার পরে তাঁর কোচ মুরলীধর বলে দিলেন, ‘‘মায়াঙ্ক কিন্তু নিজের দক্ষতায় এই সাফল্য পেয়েছে। আমি ওকে সাহায্য করেছি মাত্র। ওর তাগিদ ও পরিশ্রম করার ইচ্ছে না থাকলে এই সাফল্য পেত না।’
কোচ আরও জানালেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এতগুলো ইনিংসের মধ্যে ওকে এতটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট করতে দেখিনি। কাল রাতে ফোন করে বলছিল, রোহিতের ব্যাটিং ওকে খুব প্রভাবিত করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ রকমও ভয়ডরহীন মেজাজে ব্যাট করা যায়, তা রোহিতকে দেখেই আন্দাজ করেছে।’’
মায়াঙ্ক যে এখনও তাঁর আগ্রাসী রূপ বজায় রেখেছেন, তা বোঝা যাবে ইনিংসের পরিসংখ্যানেই। ২৩টি চার ও ছ’টি ছয়ের সৌজন্যে ২১৫ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ৫৭.৯৭। এমন কয়েকটি শট দেখা গিয়েছে যা সচরাচর টেস্ট ক্রিকেটে মারার সাহস পাওয়া যায় না। অফস্পিনারকে স্পিনের বিরুদ্ধে রিভার্স সুইপ করেছেন। বাঁ-হাতি স্পিনারকে মিড উইকেট অঞ্চলের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়েছেন। যা দেখলেই বোঝা যায়, এক সময় এ ধরনের ক্রিকেটই ছিল তাঁর প্রিয়।