রান্নাঘর থেকে গায়েব আমিষ রান্নার মূল উপকরণ পেঁয়াজ। ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় এশিয়ার সমস্ত দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বিপুল ভাবে। পড়েছে বিপুল প্রভাব। বিশেষ করে প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। পেঁয়াজের অভাব পূরণ করতে আর পেঁয়াজের দাম মধ্যবিত্তের নাগালে রাখতে মায়ানমার, ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের মুখাপেক্ষী হয়েছে।
পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো পেঁয়াজের প্রয়োজনে অন্য এশীয় দেশগুলিও ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের শরণাপন্ন হয়েছে। তবে এই দেশগুলি থেকে আসা সরবরাহ, কোনও ভাবেই ভারতের অভাব পূরণ করতে পারছে না। গত অর্থবর্ষে ২২ লক্ষ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল ভারত। কিন্তু, এবার দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ৪৫০০ টাকা প্রতি একশো কেজি পেরোতেই রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
পেঁয়াজের বর্তমান দামবৃদ্ধির জন্য দায়ী মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের খরা। খরার জন্যই মজুতের পরিমাণ কমেছে। এ মাসের গোড়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের একটি দল মহারাষ্ট্র পরিদর্শন করে জানায় সারা দেশের আগামী দু মাস চলবার মত পেঁয়াজ রয়েছে।
রবিবার ডায়রেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জানিয়েছেন, “এখন থেকে সব রকমের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করা হচ্ছে। ক্রমে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের দামে রাশ টানতে ১৩ সেপ্টেম্বর ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ধার্য করে ডিজিএফটি। প্রতি টন পিছু পেঁয়াজের মূল্য ধার্য করা হয় প্রায় ৬০ হাজার টাকা”৷