সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের পর প্রায় ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গেছে বামেরা। দীর্ঘদিনের বামদূর্গ বাংলা ও ত্রিপুরা আগেই হাতছাড়া। গোটা দেশে সিপিএমের সাইনবোর্ড হয়ে কার্যত টিকে আছে শুধু কেরালা। কিন্তু তাতে কী! দিল্লীতে কমিউনিস্ট পার্টির নতুন ভবন দেখলে মনেই হবে না যে সিপিএমের এখন দুর্দিন চলছে। গোল মার্কেটের এ কে গোপালন ভবনের পরে আইটিও-র কাছে রাউস অ্যাভিনিউতে বিশালকায়, ঝাঁ চকচকে, বিলাসবহুল ভবন তৈরি করেছে সিপিএম। বুধবার গান্ধীজয়ন্তীতে হল তার উদ্বোধন। দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে সিপিএমের এই নতুন ভবনের নামকরণ করা হয়েছে দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক হরকিষণ সিং সুরজিতের নামে।
প্রসঙ্গত, বাংলায় ক্ষমতা হারানো ৮ বছর হতে চলল। ত্রিপুরাতে ক্ষমতা গিয়েছে গত বছরই। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে সিপিএমের ফলাফল ছিল রীতিমতো লজ্জাজনক। একসময় যে দলের ৪০-এর বেশি সাংসদ থাকত, তাদের বর্তমান সাংসদ সংখ্যা মাত্র ২। যাবতীয় পুরাতন দুর্গে ক্ষমতা হারিয়ে এখন শুধু কেরলে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু তারপরেও ‘সর্বহারাদের দলের’ এই প্রাসাদসম দলীয় ভবন দেখে হাঁ রাজনৈতিক মহল। দলের তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে, এই দ্বিতীয় ভবনে হবে পার্টির স্থায়ী সেন্ট্রাল স্কুল৷ বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই পাঠশালায় দলের মতাদর্শ, কৌশল, রাজনীতি, চিন্তাচেতনার পাঠ নেবেন ক্যাডার ও নেতারা৷
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য যোগেন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, হরকিষেণ সিং সুরজিত ভবনের তিন তলা আন্ডারগ্রাউন্ড, মাটির ওপরে ছ-তলা৷ আন্ডারগ্রাউন্ডে দুটি তলায় পার্কিং৷ একটি তলা রাখা হয়েছে বাড়ির ভারবহনের ব্যবস্থা করতে৷ ওপরের ফ্লোরে আছে সাড়ে চারশো লোক বসতে পারেন এমন অডিটোরিয়াম, ৩৩ জনের মিটিং-এর জন্য কনফারেন্স রুম, ১১০ জনের মতো লোক ধরতে পারে এমন লেকচার রুম৷ এ ছাড়া থাকার জন্য ঘরও আছে৷ সূত্রের খবর, সর্বোচ্চ তলায় রয়েছে পাঁচটি ওয়ান বেডরুমের ফ্ল্যাট, চারটি সিঙ্গল রুম, সঙ্গে অ্যাটাচড বাথ৷ চারটে ডরমিটরিও আছে ভবনে, যার একেকটিতে ২৫ জন করে থাকতে পারবেন৷