২০০ বছর ধরে আজও এলাকায় ‘দালানবাড়ি’ নামে পরিচিত বাঁকুড়ার সোনামুখী পলাশডাঙ্গা গ্রামের চট্টোপাধ্যায় বাড়ি। ধারাবাহিকতায় আজও উজ্জ্বল এই চট্টোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজো। দেবী এখানে ‘বিশালাক্ষী’ নামে পরিচিতা। পলাশডাঙ্গা গ্রামের চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজো ঘিরে আজও এলাকাবাসীর সমান উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়।
পণ্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিতশতম বর্ষ উদযাপন হচ্ছে বাংলা জুড়ে। কিন্তু তখন আক্ষেপের সুর এই পরিবারের সদস্যদের গলায়। কারণ তাদের দাবী, এই পরিবারের দুর্গাদাস চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিদ্যাসাগরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ১৮৫৬ সালে বিধবা বিবাহ আইন চালু হওয়ার পর বিদ্যাসাগর বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বিধবা বিবাহের উদ্যোগ নেন। সেই কর্মসূচীর ফল স্বরুপ বিদ্যাসাগরের উপস্থিতিতে প্রথম বিধবা বিবাহ এই বাড়িতেই হয়েছিল।
বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় তৎকালীন বড়লাট লর্ড ডালহৌসি আইন প্রণয়ন করে বিধবা বিবাহ কে আইনী স্বীকৃতি দেন। কিন্তু পলাশডাঙ্গা গ্রামের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের আশ্রিতা বিধবা কালীমতির বিয়ে এই বাড়িতে হয়েছিল এই নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু আইন প্রনয়ণের বছরেই ৭ ডিসেম্বর বিদ্যাসাগরের উপস্থিথিতে এই বাড়িতেই প্রথম বিধবা বিবাহ হয় বলে চট্টোপাধ্যায় পরিবার সূত্রে দাবী করা হয়েছে। সেই পুজো এখনও সমস্ত আচার নিয়ম পালন করে হয়ে থাকে৷ সোনামুখী পলাশডাঙ্গা গ্রামের চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোর জৌলুস এখনো অমলিন।