বিভ্রান্তি যত বাড়ছে, মর্গে হইচইও বাড়ছে ততটাই। দেরাদূনের মর্গে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছেন পুলিশ কর্তারা। কিন্তু কেন? বছর ৪০ এর পবন কুমারের মৃতদেহকে ঘিরেই হয়েছে যত সমস্যা। স্বামী যে আসলে কার কিছুতেই ঠিক করে উঠতে পারছে না পুলিশ।
৪০ বছরের পবন কুমারের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই এই কাণ্ড শুরু হয়েছে। রবিদাস বস্তি এলাকার বাসিন্দা পবন পেশায় গাড়ি চালক। গত রবিবার রাতে পবনের এক স্ত্রী (আসল না নকল জানা নেই) থানায় এসে খবর দেন, তাঁর স্বামী বিষ খেয়েছেন। তড়িঘড়ি পৌঁছন পুলিশ কর্তারা। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাও শুরু হয়। তারপর তিনি মারা যান। তাঁর ওই স্ত্রী দাবি করেন, বাজারে অনেক ধারদেনা ছিল পবনের। তাই হয়তো এই আত্মহত্যা।
যাবতীয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পুলিশ জানায় আত্মহত্যাই করেছেন পবন। পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়ার সময়েই মর্গে হাজির হন চার মহিলা। প্রত্যেকের দাবি পবন তাঁদের স্বামী। পুলিশি জেরা প্রত্যেকেই পবন সম্পর্কে ঠিকঠাক কথাই বলে। এ দিকে প্রত্যেক মহিলারই দাবি, তাঁরা বাকিদের চেনেন না। দেহরাদূনের মর্গে এখন দক্ষযজ্ঞ চলছে। স্বামীর অধিকার ছাড়তে রাজি নন কোনও স্ত্রীই। সাত মহিলার মাঝে রীতিমতো হতভম্ব দশা পুলিশ কর্তাদের।
এই ঘটনার মীমাংসা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, পবনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কানাকড়িও নেই। হতেই পারে এতগুলো মহিলাকে বিয়ে করে ফেঁসে গিয়েছিলেন তিনি। আবার পবনকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল, এমনটাও হতে পারে।