বাঙালির বৃহত্তম উৎসব দুর্গাপূজা। আর বাঙালির কাছে পুজো মানে চার দিনের ভালো থাকা, আড্ডা, অঞ্জলী, আর থেকেও বেশি হল ঢাকের আওয়াজ। পুজো বললে বাঙলির মনে প্রথমে যা আসে তা হয়তো ঢাকই। কেবল দুর্গাপূজায় নয়, বাংলার আরও অনেক পুজায় ঢাক একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করেছে।
তবে বর্তমানে থিম পুজো, থিম সংয়ের সময়ে ঢাকের চাহিদা কমছে। রেকর্ডের ঢাকের আওয়াজে মজেছে বাঙালি। তাই কাজ কমছে ঢাকিদের। বছরের পর বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের ঢাকিরা বেশিরভাগ মালদা, জলপাইগুড়ি, এবং দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে আসেন। কিন্তু শুধু একটুকু সময়ের জন্যই তাদের উপার্জন। তাই বছরের বাকি সময়ে তাদের অন্য জীবিকা খুঁজতে হয়। কেউ কেউ দুর্গাপূজার সময় নিজ নিজ জেলা ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও চলে যাচ্ছেন।
এর আগে ঢাকিরা কেবল পুজোর সময়ই নয়, বিয়ের মতো অনুষ্ঠানেও প্রচুর চাহিদা ছিল। সেই প্রবণতাটিও মরে যাচ্ছে। সুতরাং, ঢাকিরা যারা একবার তাদের জীবিকার একমাত্র মাধ্যম হিসাবে তাদের পূর্বপুরুষদের দ্বারা পেশা গ্রহণ করেছিল, এখন তাদের এবং পরিবারকে টিকিয়ে রাখার জন্য। বছরের পর বছর অদ্ভুত চাকরির সন্ধান ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। ঢাক বাজানো আজকাল আর একের জন্য পুরো সময়ের চাকরির পছন্দ হতে পারে না।
ঢাকিদের খুব কম টাকাও দেওয়া হয়, বিশেষত তাদের নিজ জেলায়। যদি তারা কলকাতা বা অন্য কোনও শহরে কোনও প্রস্তাব পাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন, তবে বেতনটি আরও ভাল হয়। কিন্তু তারপরেও তাদের সঠিক পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। বর্তমানে তাই ঢাকিরা কলকাতা ছাড়াও দিল্লী, মুম্বই যান। পুজোর সময় অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য।