৩০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতির ধাক্কা সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে ভারতীয় রেল। স্পনসর পাওয়ার সমস্যা তো হচ্ছেই, পাশাপাশি ট্রেন এবং স্টেশন পরিষ্কার করানোর জন্য খরচা কমাতে বাধ্য হয়েছে রেল। এ ছাড়া ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত হয় না, এমন ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথাও ভাবছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
রেলের ১৭ টি আঞ্চলিক বিভাগকে দেওয়া ৬ সেপ্টেম্বরের এক চিঠিতে রেল পর্ষদ থেকে খরচ কমানোর জন্য এবং বার্ষিক আয় বাড়ানোর জন্য একাধিক স্বল্প মেয়াদী ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আগস্টের শেষের হিসেব বলছে রেলের বার্ষিক আয় বেড়েছে ৩.৪ শতাংশ, অথচ খরচ বেড়েছে ৯ শতাংশ। রেল পর্ষদের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানিয়েছেন, ‘জুলাই মাস পর্যন্ত আমাদের আয় এবং ব্যয়ের সমতা ছিল। আগস্ট মাস থেকে খরচা বাড়তে শুরু করল। এই ব্যবস্থা সামাল দিতে আমরা তৎপর’।
খরচ কমাতে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে ভারতীয় রেল পর্ষদ। ট্রেনের কামরার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করাকে কর্পোরেট সোশাল রেসপনসিবিলিটির আওতায় নিয়ে আসা, ৫০ শতাংশের কম আসন খালি থাকে, এমন ট্রেন পরিষেবা বাতিল করা, ৩০ বছরের পুরোনো ডিজেল ইঞ্জিন বাতিল করা ইত্যাদি।
আপাতত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, রেলের বার্ষিক সঞ্চয়কে ৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যেতে চাইছে রেল পর্ষদ।