দেশে প্রথম পুলওয়ামা শহিদ স্মারকের উদ্বোধন হল দুর্গাপুরের পাণ্ডবেশ্বরে। বিধায়ক তহবিল থেকে নির্মিত এই শহিদ স্মারক উদ্বোধন করলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কারগিল যুদ্ধের সেনানী ও তৃণমূলের জেলা সহ-পর্যবেক্ষক কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরি। রবিবার সন্ধ্যায় এই স্মারক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন পাণ্ডবশ্বরের বিধায়ক ও আসানসোলের মেয়র তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সঙ্গে ছিলেন কারগিল যুদ্ধের সেনানী ও তৃণমূলের জেলার সহ-পর্যবেক্ষক কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরি।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। দেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত দিন। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জাতীয় সড়কের উপর জঙ্গিদের আত্মঘাতী বিস্ফোরণে শহিদ হন সিআরপিএফ-এর ৪০ জন জওয়ান। লোকসভা ভোটের আগে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল জঙ্গিদের এই নাশকতায়। ভোট মিটতেই সকলে পুলওয়ামার ক্ষত ভুলেছে বলে দাবি করেন তৃণমূলের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির। আর তারপরই তাঁর এই উদ্যোগ। যদিও এমন স্মৃতিস্মারক তৈরির কথা আগে বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাণ্ডবেশ্বরের শীতলপুরে বিধায়ক তহবিলের ১৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই শহিদ স্মারক তৈরি করা হয়েছে। স্মারকে পুলওয়ামার ৪০ জন বীর সেনার নাম খোদাই করা হয়েছে।
দেশের প্রথম পুলওয়ামা শহিদ স্মারক নিয়ে বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “যাঁরা ওই নাশকতায় শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা হয়েছিলো। কিন্তু সেই স্মৃতি ধূসর হতেই যাঁরা এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করেছিল, তারাও এই শহিদদের ভুলে গেছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে এই শহিদদের আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই স্মারক নির্মাণ।” স্মারক ঘিরে পরিবেশ আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে এর চারদিকে গাছ ও রঙিন আলো লাগানো হয়েছে। বিধায়কের আশা, পাণ্ডবেশ্বরের এই স্মৃতিস্মারক দেখে এগিয়ে আসবেন দেশের আরও অনেকেই।