এখন মহালয়া মানেই পুজোর শুরু। আর পুজো মানেই দেদার ঘোরা, খাওয়াদাওয়া। পুজোর এই চারদিনে ডায়েট শব্দটা বাঙালির অভিধান থেকে মুছে যায়। তাই পুজোয় পেটপুরে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়াটা মাস্ট। পুজো উপলক্ষ্যে শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় আয়োজন করা হচ্ছে কম দামে লোভনীয় খাবার।
পুজো উপলক্ষ্যে নলবন আয়োজন করছে সাধ্যের মধ্যেই দারুণ দারুণ সব খাবারের। ইলিশ, চিংড়ি. চিকেন, মটন এলাহি কারবার! তাও আবার এতটাই সস্তা দামে পাওয়া যেতে পারে তা সত্যিই অকল্পনীয়। কি কি পাওয়া যাচ্ছে নলবনে, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে দুর্গা পুজা স্পেশাল মেনু। শারদীয়া থালিতে থাকবে ভাত, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, আলু ভাজা, ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচুশাক, সর্ষে ইলিশ, পাবদা ঝোল, চিংড়ির কালিয়া, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। পাঁচ শতাংশ জিএসটি নিয়ে দাম মাত্র ৪৫০ টাকা। পুজোর জন্য থাকছে স্পেশাল রাজভোগ থালি। তাতে থাকবে বাসন্তী পোলাও, ইলিশ পাতুরি, চিংড়ি মালাইকারি, পটলের দোরমা, চাটনি , পাঁপড়, মিষ্টি। জিএসটি নিয়ে দাম মাত্র ৩৫০ টাকা।
যাঁরা পুজোর কটা দিন ভাত, মাছে থাকতে চান না তাঁদের জন্য থাকছে পুজা স্পেশাল মোগলাই থালি। মটন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, তন্দুরি চিকেন, রায়তা, স্যালাড, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। দাম মাত্র ৪০০ টাকা (জিএসটি পাঁচ শতাংশ)। নিরামিষ থালি পাবেন চার পিস লুচি, ছোলার ডাল, বেগুন ভাজা, ভেজিটেবল চপ, ফুলকপি/পনির/কড়াইশুটি দিয়ে তরকারি, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। দাম মাত্র ২০০ টাকা (জিএসটি পাঁচ শতাংশ)।
ইলিশ ও চিংড়ির একের পর এক জিভে জল আনা রেসিপিও থাকবে। খাবারের সঙ্গে সঙ্গে পাবেন দারুণ ভিউ। জলাধারের পাশে বসে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের সঙ্গে পেটপুজো। এর থেকে ভাল আর কী হতে পারে! তাহলে আর কি! পুজো তো শুরু হয়েই গেল তাহলে পরিবারের সঙ্গে চলে যান নলবন। পুজোয় জমিয়ে হোক পেটপুজো।